রামনগর: পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে ( Ramnagar in East Medinipur) তৃণমূলকর্মীর ঝুলন্ত দেহ (Death TMC Worker) উদ্ধার। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুসাইট নোটে বিজেপি কর্মীর নাম রয়েছে। মৃতের নাম চন্দন সামন্ত। মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের দাবি, বিজেপির আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে। তারপরই এই চরম সিদ্ধান্ত নেন ওই কর্মী। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে রামনগর থানার পুলিশ।
বহু দিন ধরে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দন সামন্ত। এলাকায় সকলে তৃণমূল কর্মী হিসাবেই চেনেন। রামনগরের কনিওর দক্ষিণ বুথে তাঁর বাড়ি। কনিওরা দক্ষিণ বুথে তৃণমূল হেরে যায়। ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর এলাকার বিজেপির নেতাকর্মীরা তাকে কটূক্তি করত। তার উপর মানসিক অত্যাচার শুরু হয়,অভিযোগ তৃণমূলের। তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিজেপির দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন চন্দন। তাই আত্মঘাতীই হন। বিজেপির কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়ুন: Tamilnadu Incident | ছেলে ক্ষতিপূরণের টাকা পাবে মনে করে বাসের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী মহিলা
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যের জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। রাজনৈতিক হিংসা এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুনোখুনি, ব্যাটল লুঠ, বোমাবাজি কোনও কিছু বাদ যায়নি। ভোট নিয়ে একাধিক মামলা গড়িয়েছে আদালতে। গুচ্ছ গুচ্ছ মামলার জেরে ক্ষুধ্ব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম। এর মধ্যেই ফের তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল রামনগরে। বিজেপি দাবি, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। সুইসাইড নোটের লেখা মৃতের কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।