কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Vote) আগে বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠল তুফানগঞ্জে (Tufanganj)। বেশ কিছুদিন যাবৎ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের। রবিবার রাতে তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। তুফানগঞ্জ মহকুমা বিজেপি কার্যালয় কার দখলে থাকবে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেধে যায় বিজেপির বিধায়ক গোষ্ঠীর সঙ্গে বিধায়ক বিরোধী বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে। যদিও পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপির কনভেনার পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে।
তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপির বিধায়ক গোষ্ঠীর বিরোধী বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত কোচবিহার জেলা কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ বসাক সহ বেশকিছু বিজেপির পুরনো কর্মী। জানা যায়, সোমবার রাতে জেলা কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ বসাক সহ কর্মীরা বিজেপি কার্যালয়ে আসেন। সেই সময় কার্যালয়ে বৈঠক করছেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি শুভাশিস ধর। বৈঠক চলাকালীন প্রসেনজিৎবাবু সহ কর্মীরা বাইরেই ছিলেন। কিন্তু বৈঠক শেষে শুভাশিস ধর দলীয় কার্যালয়ে বন্ধ করেন এবং পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন শহরমণ্ডল সভাপতির নিষেধ রয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে প্রসেনজিৎ বসাককে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। সেই সময় দলীয় কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধুমধুমার কাণ্ড বেধে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে এক প্রকার হাতাহাতিতে পৌঁছনোর উপক্রম হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তুফানগঞ্জ বিধানসভার কো কনভেনার নিখিল গাবুয়া। তাঁর উপস্থিতিতে চাবি নিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে প্রসেনজিৎ বসাক সহ অন্যান্যরা। এ বিষয়ে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি শুভাশিস ধর জানান, যারা বিজেপি কার্যালয়ে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে, ভাঙচুর চালায় তারা আদৌ বিজেপি কর্মী কি না সন্দেহ রয়েছে। তবে বিজেপি তুফানগঞ্জ বিধানসভার কনভেনার বিমল পাল জানান, কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নয়। দল বড় হয়েছে তাই একটু কথা কাটাকাটি হয়। সকলেই বিজেপি কর্মী। এখানে কোনও গোষ্ঠী নেই। যদিও বিজেপিকে এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তুফানগঞ্জ শহর তৃণমূলের যুব সভাপতি তনু সেন। নির্বাচনের আগে কেন্দ্র থেকে কোটি কোটি টাকা আসছে, সেই টাকায় ভাগ নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। মানুষ সব বুঝতে পারছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিসর্জন দেবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বন্ডের ইউনিক নম্বর সংক্রান্ত বিতর্ক জারি সুপ্রিম কোর্টে
আরও খবর দেখুন