কলকাতা: সন্দেশখালি ইস্যুতে (Sandeshkhali Incident) বিজেপির অভিযানে জেলায় জেলায়। কলকাতা (Kolkata) ,দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বীরভূম, বর্ধমান সহ জেলায় জেলায় বিজেপির প্রতিবাদ বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল।কোথাও জ্বলল টায়ার। কোথাও চলল ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ। দফায় দফায় বিজেপি (Bengal BJP) কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি জড়াল পুলিশ। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) মুখে সন্দেশখালির পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করেই তৃণমূলকে বিঁধে পদর্যস্ত করতেই মাঠে নেমেছে বিজেপি।
বুধবার সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)৷ আর এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি ডাক দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপারের অফিসের বাইরে সারি সারি দিয়ে বসানো হয় ব্যারিকেড। এসপি অফিস গুলির বাইরে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানেই বিজেপির কর্মীদের রুখতে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল।
উওর কলকাতার বিজেপির পক্ষ থেকে ডিসি সেন্ট্রালের অফিসের সামনে ঘেরাও কর্মসূচিতে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বাচসা হয় পুলিশের সঙ্গে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।দাবি জানায় অবিলম্বে সন্দেশখালিকে শান্ত করতে হবে , বাংলা মা বোনেদের সম্মান রক্ষার্থে, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কে কেন বিনা প্ররোচনায় বারে বারে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে, গতকাল সুকান্ত মজুমদারকে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল। তৃণমূল ১৮ ফেব্রুয়ারি যদি সন্দেশখালিতে যায় আমরাও কালীঘাট অভিযান করব যেভাবে এই অত্যাচার করছে তৃণমূল সরকার, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি কিন্তু পুলিশ আমাদের বারংবার বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে এই সরকারের আর একমাত্র থাকার অধিকার নেই, গ্রামের পর ডিসি সেন্টারে ডেপুটেশন জমা দিলেন বিজেপির চার সদস্যের দল।
এদিন সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম। সন্দেশখালি তে সুকান্ত মজুমদারের পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আজ সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি, বিজেপির পুলিসি বেরিকেট ভাঙার চেষ্টা।এ দিন বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । বিক্ষোভকারীদের আটকানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড করা হয় । তবে সেই ব্যারিকেড ভেঙে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন । তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা ।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে বিজেপির ইন্ধন ছিল, বিধানসভায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে সিউড়িতে বিজেপির এসপি অফিস কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। পুলিশের ব্যারিকেড টপকে এসপি অফিসের সামনে এসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির। উপস্থিত রয়েছেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। এদিন সিউড়ির সার্কিট হাউস থেকে মিছিল শুরু করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। বিজেপিকে রুখতে জেলা শাসকের দফতরের সামনে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড করা হয়। উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে এসপি অফিসের সামনে যায় বিজেপির নেতা কর্মীরা। সেখানেই চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। ঝাড়গ্রাম শহরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএম অফিস ঘেরাও ও বিক্ষোভ মিছিল করল বিজেপি। ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের অফিসে মিছিল পৌঁছায়। এদিনের মিছিলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে উত্তেজনা ছড়ায় পুরুলিয়া পোস্ট অফিস চত্বরে। বিজেপি কর্মীরা, জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে দিতে আসেন। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপির মহিলা মোর্চার ধস্তাধস্তি বাধে। হাতে ঝাটা নিয়ে মার মুখি মহিলা কর্মীরা। রাস্তায় বসে পরেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চার্জ করার অভিযোগ করেন। সুকান্ত মজুমদারকে হেনস্থা ও গ্রেফতারের ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার অফিসে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ বিজেপি মহিলা মোর্চার। এদিন বিজেপি যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে মিছিল সহকারে এসপি অফিসের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভের শুরুতে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তধস্তি হতেও দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
অন্য খবর দেখুন