কলকাতা: টাকার বিনিময়ে চাকরিপ্রাপকদের তালিকায় বিজেপি নেতাদের আত্মীয়স্বজনেরও নাম রয়েছে বলে স্বীকার করে নিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার বলেন, যাঁরা দুবছর আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন, তাঁদেরও কারও কারও নাম এই তালিকায় থাকতে পারে। তবে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দাবি, তাঁদের কোনও নেতার নাম এখনও জড়ায়নি। নেতাদের আত্মীয়দের নাম দুই এক জায়গায় শোনা যাচ্ছে।
বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। শাসকদলের এবং বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ, শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন একাধিক জেলায় টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে। ওই সব জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু। এখন অবশ্য বিজেপিতে আসার পর শিক্ষকদের বেআইনি চাকরি নিয়ে খুব সরব বিরোধী নেতা। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, দিলীপ নাম না করে শুভেন্দুকেই খোঁচা দিলেন।
আরও পড়ুন:Howrah Mishap: জগাছায় নির্মিয়মাণ রিজার্ভার ভেঙে আহত বেশ কয়েকজন শ্রমিক
দিলীপের অভিযোগ, গরু, কয়লা পাচার-সহ শিক্ষা দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে শাসকদল। পুলিশ নেতাদের বাঁচাতে চাইছে। কিন্তু দাগী নেতাদের ওরা বাঁচাতে পারবে না। আবাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করছি। জল অনেক দূর গড়াবে।
বিভিন্ন জেলায় সমবায় সমিতির নির্বাচনে অনেক জায়গায় বিজেপি বামেদের সঙ্গে জোট করছে বলে অভিযোগ। সে ব্যাপারে বিজেপি নেতা বলেন, এগুলির সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক হয়েছে কলকাতায়। ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিরোধীরা এতে তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের তত্ত্ব খাঁড়া করছেন। বিজেপির অন্দরেও তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। দলে নানা বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে। সে ব্যাপারে দিলীপ বলেন, যে বিজেপি কর্মীরা বিভ্রান্তিতে ভুগছেন, তাঁদের এবার ঘরে বসে থাকা উচিত। এসব নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না।
