জলপাইগুড়ি: ভোটে জয়ী হওয়ার পরেও গ্রামে ফিরতে পাচ্ছেন না বিজেপি জয়ী প্রার্থী সহ তাঁর ছায়াসঙ্গীরা বলে অভিযোগ। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই গ্রাম ছাড়া বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনী বিজেপি জয়ী প্রার্থী সহ বিজেপি কর্মীদের উপর তীর ধনুক নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, মিথ্যে অভিযোগ তুলছে গেরুয়া শিবির।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথে ব্যালট বাক্স লুট, আগুন ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। দুটি বুথে পুরনার ভোট হয় ১০ জুলাই। বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/২৬৮ নম্বর বুথে পুনরায় ভোটে বিজেপি প্রার্থী ষষ্ঠী মণ্ডল মোট ৫৭২ ভোট পেয়ে তৃণমূলের প্রার্থী বরুণ রায়কে ২৪০ ভোটে পরাজিত করেন।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi | বাংলায় হিংসা দেখেও চুপ কেন কংগ্রেস-বিজেপি, বিরোধী জোটকে প্রশ্ন মোদির
অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি উপর আক্রমণ চালায়। তীর-ধনুক দিয়ে বিজেপি জয়ী প্রার্থীকে আক্রমণও করা হয়। সেদিন থেকে বাড়ি ছাড়া তিনি। শুধু তাই নয়, গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর ছায়াসঙ্গীরাও গ্রামে ঢুকতে পাচ্ছেন না। জয়ী বিজেপি প্রার্থীর কাকা সুনিল বর্মণ বলেন, ভোটের আগে থেকে তৃণমূল হুমকি দিচ্ছিল। ভোটের পর বিজেপি জয়ী হয়। তারপর তীর-ধনুক নিয়ে আক্রমণ করে হুমকি দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে। সকলে ঘর ছাড়া।
জয়ী প্রার্থীর দিদা হীরণ বর্মণ বলেন, ভোটের আগে থেকে তৃণমূলকে ভোট দিতে বলা হয়। ফল প্রকাশের পরেই আমার নাতি জয়ী প্রার্থী সহ ১৫-২০ গ্রাম ছাড়া। এদিকে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, জয়ী হলেও গ্রামে থাকতে পারছেন না জয়ী বিজেপি প্রার্থী। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। গণতন্ত্রের কালা দিবস ছিল সেদিন। এর জন্য সরকারি আমলারা দায়ী।
এদিকে সদর ব্লকের তৃণমূলের অবজারভার তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। কে কে বাড়ি ছাড়া জানানো হোক প্রশাসনকে। বাড়ি ছাড়া না কি ঘুরতে গিয়েছে সেটা দেখতে হবে। গল্প সাজাতে পারে সহানুভূতির জন্য। জলপাইগুড়ি এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি।