বাঁকুড়া: ফের পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা নিয়ে বড়সড় বেনিয়মের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়। মেজিয়া ব্লকে রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ মানল জেলা পরিষদও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই নখের আঁচড়ে উঠে আসছে রাস্তার পিচের চাঙড়। অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে গিয়ে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ মানলেন খোদ জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। প্রকল্পের ৭০ শতাংশ টাকা তৃণমূল নেতারা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।
বাঁকুড়ার অনুরাগপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মচড়াকেন্দ বাসুদেব ক্লাব পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়েছিল। মাত্র ১১০০ মিটার ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ঘাম ছুটত এলাকার মানুষের। বর্ষায় হাঁটু সমান কাদা আর অন্য সময়ে ধুলোতে ঢাকা থাকত রাস্তাটি। গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পাকা করা হোক। সেই দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেয় বাঁকুড়া জেলা পরিষদ। মাস ছয়েক আগে কাজও শুরু হয়। অত্যন্ত ঢিমেতালে চলা সেই রাস্তায় সম্প্রতি পড়েছে পিচের আস্তরণ। আর তা দেখেই রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী রেখার বাড়িতে আগুন
এলাকার মানুষের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই হাতের আঙুলের চাপে উঠে আসছে পিচের চাদর। রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও পায়ের চাপে ফেটে যাচ্ছে পিচ। এই অবস্থায় রাস্তা একমাসও টিকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, নড়েচড়ে বসে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সরেজমিনে রাস্তার কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। কার্যত স্বীকার করে নেন রাস্তাটি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে অতি নিম্নমানের সামগ্রী। আপাতত ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদের তরফে। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিজেপির দাবি, প্রতিটি সরকারি প্রকল্প শুরুর আগেই প্রকল্পের ৭০ শতাংশ টাকা কাটমানি হিসাবে তুলে দিতে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। তার জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: