বানারহাট: ফের সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ। এবারে বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটায় পূর্ত দফতরের (PWD) অফিসের একেবারে মুখেই দখল হচ্ছে জায়গা। সব দেখেও নিরব পুলিশ প্রশাসন। জায়গা দখলের পাশাপাশি রীতিমতো মূল্যবান সরকারি গাছ দখল করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার ছবিও ধরা পড়ল কলকাতা টিভির ক্যামেরায়। যাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্নের মুখে পূর্ত দফতর ও বনদপ্তরে ভূমিকা। ঘাছ পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভপ্রকাশ করেছে পরিবেশ প্রেমীরা। বন দফতরের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
প্রশ্ন উঠছে কেন সরকারি অফিসের সামনে এভাবে জায়গা দখল হলেও নিশ্চুপ হয়ে বসে আছেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। কেন এতো বড় মূল্যবান সেগুন গাছে আগুন ধরিয়ে মারার চেষ্টার পরও বন দফতরের তরফে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কারা জড়িত রয়েছে এর পিছনে, কাদের মদতে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে এভাবে সরকারি অফিসের সামনে দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি জায়গা।
আরও পড়ুন: কীর্তন থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি
বিদোধীদের অভিযোগ, প্রশাসন ও শাসকদলের মদতেই এভাবে সরকারি জায়গা দখল ও গাছ লুট হয়ে যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে গয়েরকাটা পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ক্যামেরার সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা।
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞার টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তৃণমূলের নেতারা এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। বালি, পাথর থেকে শুরু করে গরু, কয়লা সব কিছুতেই জড়িত শাসকদল। এমনকী জঙ্গলও সাফ করে দিচ্ছে তারা। দ্রুত তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লিখিত আকারে ডিএফও এবং পূর্ত দফতরে কর্মীদের জানাবেন। এফআইআর করবেন বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এলাকার এক পরিবেশ প্রেমী সংস্থা কৌশিক বারুই বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ এবিষয়ে তাদের কোনও মাথা ব্যাথা নেই। তবে যেভাবে গাছের মধ্যে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে হয়ত খুব শীঘ্রই গাছটির পাতা ঝরে মৃত্যু হবে। এ বিষয়ে বন দফতরের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানানো হবে।
অন্যদিকে মোরাঘাট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা এসিএফ সঞ্চিতা শর্মা অবশ্য বলেন, গাছ পুড়িয়ে ফেলার বিষয়ে পূর্ত দফতরের তরফে এখনো পর্যন্ত কোনওরকম অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: