পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূলের হাতে মার খাচ্ছে তৃণমূল। মঙ্গলকোট (Mangalkot) গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সেখ রহিমের অনুগামীদের হামলায় গুরুতর জখম হন তৃণমূল কর্মী শেখ সাবির আলি। তার দুটো পা ভেঙে দেয় বলে জানান সাবির আলির বোন সাবিনা খাতুন। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের (TMC Inner Clash) জেরে এই পরিস্থিতি। বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ের ভিতর ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তালা ভেঙে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিবার। মঙ্গলকোটের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আহত ওই তৃণমূল কর্মী বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি।
শেখ সাবির আলির বাড়ি মঙ্গলকোটের কামালপুর গ্রামে। তৃণমূল কর্মী সেখ সাবির আলি মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হাসনাবানু বেগমের দেওর। শেখ সাবির আলির পরিবার মঙ্গলকোট (Mangalkot) পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সান্ত সরকারের নেতৃত্বে তৃণমূল করেন। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রহিমের অনুগামীরা টিকিট পায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই রহিমের গোষ্ঠীর লোকজনের হুমকির মুখে পড়তে হয় তাদের।ফলে বাড়ি ছাড়া হতে হয় প্রাক্তন প্রধানের পরিবারকেও। মঙ্গলকোট থানার কামালপুর গ্রামের প্রাক্তন প্রধান হাসনাবানু বেগম ও তাঁর পরিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই গ্রাম ছাড়া। এনিয়ে দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বার বার জানিয়েও ঘরে ফল হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের ।
আরও পড়ুন: সঞ্চিতার অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনেছে প্রতিবন্ধকতা
রবিবার ব্যক্তিগত কাজে গ্রামে গিয়েছিলেন হাসনাবানুর দেওর সেখ সাবির আলি। অভিযোগ, রহিমের অনুগামী তৃণমূল কর্মীরা হামলা করে শেখ সাবির আলির উপর। সাবিরের মা বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় । এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। পরে সাবিরের বোন ও গ্রামবাসীরা আহত সাবিরকে উদ্ধার করে প্রথমে মঙ্গলকোট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
প্রাক্তন প্রধান হাসনাবানু বেগম জানান, আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করতাম এটাই আমাদের অপরাধ। সেকারণেই আমাদের উপর এই হামলা। যারা মারধর করেছে তারাও তৃণমূল করে বলে জানান হাসনাবানু। সাবিরের বোন সাবিনা খাতুন জানান, ভাই বাড়িতে যেতেই ওর উপর হামলা হয়। মা আটকাতে গেলে মাকেও মারধর করা হয়।আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আহত সেখ সাবির আলি বর্ধমান হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি বাড়িতে গিয়েছিলাম কিছু কাগজপত্র আনতে। সেখানেই রহিমের অনুগামীরা আমার উপর চড়াও হয়। আমাকে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। আমরা শান্তর নেতৃত্বে দল করি। আমার দুটো পা ভেঙ্গে দিয়েছে। গোটা শরীরে আঘাত করেছে। আমি ওদের শাস্তি চাই।
অন্য খবর দেখুন