জলপাইগুড়ি : কথায় আছে, নদীর পারে বাস, চিন্তা বারোমাস। সেই চিন্তায় রয়েছে নদীর জলস্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। গত বর্ষায় নদীর জলস্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও বাঁধ। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার গয়েরকাটার কোঙ্গা নগর কলোনির ঘটনা। তারপর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা নদীবাঁধের (Banarhat River Dam) দাবি জানিয়েছেন। সেইমতো সরকারের তরফে বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাজও শুরু হয়, তবে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হতেই এলাকাবাসী বেনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তাঁরা জানান, নিয়মবহির্ভূত ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে নদীবাঁধ। জালির ভিতরে থাকা পাথর বেরিয়ে আসছে। ভারী বর্ষায় নদীর জলস্রোতে গোটা বাঁধ ভেসে যাবে এমনটাই আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়ম বহি্ভূতভাবে ভাবে তৈরি করা হচ্ছে নদী বাঁধ। জালির ভেতরে থাকা পাথর হাত দিয়েই বেরিয়ে আসছে। ভারী বর্ষায় নদীর জলস্রোতে গোটা বাঁধ ভেসে যাবে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা। অভিযোগ তুলেছেন সরকারি নিয়ম না মেনেই নির্দিষ্ট মাপের চাইতে অনেকটাই ছোট পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁধে নির্মাণের কাজে। নিচে ছোট পাথর দিয়ে ওপরে সামান্য কিছু বড় পাথর দিয়ে প্রশাসনের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়তি মুনাফার জন্য পুরনো বাঁধের পাথর কেই ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁধ তৈরিতে এমনই অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৯)
বিরোধীদের অভিযোগ, মোটা অংকের টাকা নয়ছয় হচ্ছে। শাসকদলের নেতা ও বরাত পাওয়া ঠিকাদারি সংস্থার পকেটে যাচ্ছে সেই টাকা। যার কারণেই বেনিয়ম হলেও নজর নেই প্রশাসনের। যারফলে রীতিমত ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, কোঙ্গার নগর কলোনি এবং অজয় ঘোষ কলোনি এলাকায় কে বাঁধের কাজ করা হচ্ছে সেই কাজের বোল্ডার সাপ্লাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে শাসক দলের নেতারা। সেচ দফতরের নজরদারি নেই তার একটাই কারণ অধিকারীদের একাংশের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ তাই সরকারি টাকা তছরুপ হচ্ছে। যদিও বানারহাটের বিডিওর ((Banarhat BDO) আশ্বাস সেচ দফতরের আধিকারিককে বলবেন গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।
অন্য খবর দেখুন