কলকাতা: সব জল্পনা নস্যাৎ করে দিল ময়নাতদন্তের (Post Mortem) রিপোর্ট। তবে কি নিছকই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের? নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যুকান্ডে পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অপ্রতিমের। লিভারে পাওয়া গিয়েছে অ্যালকোহল। দেহে ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল কোনও ইনজুরি মার্কস নেই।
এর আগে দাবি উঠেছিল পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র। অপ্রতিম দাস নামে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে (Engineering student) নিজের বাবাই খুন করেছে, দাবি মৃতের মায়ের। এ দিকে, বাবা দাবি করছেন, মা খুন করেছেন ছেলেকে! পড়ুয়ার মৃত্যুতে বাবা ও মা যে ভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলছেন, পারিবারিক বিবাদের কারণেই খুন হয়েছেন ওই পড়ুয়া এমনই তত্ত্ব খাড়া করছিল পুলিশও। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) মহামায়া তলায়।
আরও পড়ুন: ফের শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল মঙ্গলকোটে
জানা গিয়েছে, চারদিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার বিকেলে অপ্রতিম দাস নামে ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের দেহ ভেসে ওঠে বাড়ির পাশের একটি জলাশয়ে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল সে। রবিবার সকালে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়া এলাকার পুকুরে এক যুবকের দেহ ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু পুলিশ যথাযথ তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিক্ষোভ মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বচসা ও হয় বাধে ছাত্রের পরিবারের ও স্থানীয়দের। পুলিশকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
আরও খবর দেখুন