কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সোমবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতারা বিশেষ বিমানে ফিরলেন কলকাতায়। আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সুদীপ রাহার মাথায় সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, গুরুতর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে তাঁর মাথায়। এসএসকেএমে ভর্তি সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত। এভাবে আটকানো যাবে না তৃণমূলকে, ত্রিপুরা থেকে ফিরে হুংকার দেবাংশুর। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় নিজেদের জমি তৈরি করতে মরিয়া তৃণমূল। সেই নিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক নয় ব্যবহার করতে হবে কাগজ, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের
ত্রিপুরার ধোলাইয়ের আমবাসায় শনিবার আক্রান্ত হন তৃণমূলের সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, দেবাংশু সহ তৃণমূলের নেতারা। খোয়াই থানায় নিয়ে যাওয়া হলে প্রতিবাদে তাঁরা রাতভর বিক্ষোভ দেখান। এরপর রবিবার সকালে তাঁদের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ত্রিপুরা পৌঁছন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ ও দোলা সেনের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পরে থানায় হাজির হন অভিষেকও। ধৃতদের মুক্তির দাবিতে প্রায় ৬ ঘণ্টা থানায় ছিলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা ইস্যুতে সোমবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল
রবিবার খোয়াই আদালতে পেশ করা হয় ১১ জনকে৷ কিন্তু মামলা শেষপর্যন্ত টেকেনি আদালতে৷ ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে দেবাংশু-জয়াদের জামিন মঞ্জুর করে দেন বিচারক৷ তৃণমূল নেতাদের হয়ে সওয়াল করেন ১২ জন আইনজীবী৷ দেবাংশুদের ছাড়াতে কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৮ জন আইনজীবীকে৷ শুনানি চলাকালীন খোয়াই থানাতেই বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, তৃণমূল নেতাদের জামিন না পাওয়া অবধি থানা ছেড়ে কোথাও যাবেন না৷ তবে আদালতে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুরা৷ আক্রান্তদের ছাড়িয়ে নিয়ে সোমবার কলকাতা ফিরলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক। এই ঘটনার প্রতিবাদে ত্রিপুরায় সোমবার তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে।