বহরমপুর: একসময় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রাজনীতিতে রবিনহুড নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। কারও কারও কাছে তিনি মস্তান ছিলেন। অনেকের কাছে বড়লোকের বিরুদ্ধে লড়াই করে গরিবের মসিহা হয়ে উঠেছিলেন। একসময় জেলে থেকে ভোটে লড়ে জিতেছেন। তাঁর ভোকাল টনিক রেকর্ড করে গ্রামে গঞ্জে শোনানো হত। তাতেই অনুপ্রেরণা পেতেন তরুণ ব্রিগেড। কিন্তু সেসব এখন অতীত। বয়সের ভারও শরীরে বাসা বেঁধেছে। জেলা রাজনীতিতে তৃণমূলের সর্বগ্রাসী মানসিকতায় তাঁকে ঘিরে থাকা অনুগামীদের খুইয়েছেন। একসময়ের সঙ্গীদের হারিয়ে কার্যত একাই লড়ছেন বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। দলবদলে তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে এখন তৃণমূলে নাম লিখিয়েছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকেরা বলেন, নামের মতোই তিনি কথায় কথায় মেজাজ হারান। ফের রণংদেহী মূর্তিতে দেখা গেল অধীরকে। শনিবার খাসতালুক বহরমপুরে গাড়ি থেকে নেমে তৃণমূল কর্মীকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলেন। তবে যে ঘটনায় কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতার বিরুদ্ধে সাধারণ তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। ওই ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? রাস্তায় দাঁড়িয়ে ১৩ নং ওয়ার্ডের বিভান দে নামে এক যুবককে মারধর করছেন অধীর চৌধুরী। এদিকে নগদ টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গতকাল বহরমপুরের কাশিমবাজার এলাকার কৃপাময়ী কালীমন্দির গিয়েছিলেন বহরমপুর লোকসভার কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। সেখানে মায়ের মন্দিরে প্রণাম করার পর পুরোহিতদের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেন অধীর চৌধুরী। নিজের মানিব্যাগ বার করে ওই টাকা তুলে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল। এদিন অধীর বলেন, মন্দিরে গেলে হিন্দুরা দান বাক্সে প্রণামী দিয়ে থাকেন। বহরমপুরের ওই মন্দিরে দানপাত্র রয়েছে কি না তিনি খোঁজ নিয়েছিলেন, সেটা না থাকায় পুরোহিতদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিয়েছেন। তবে টাকা দিয়ে তিনি ভোট কিনতে চান না, আর পারবেনও না, কারণ দেশের মধ্যে অন্যতম বিপিএল সাংসদ তিনি নিজেই বলে জানান অধীর চৌধুরী। তবে এই মারধরের ঘটনা নিয়ে অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: দমদমের ঝুপড়িতে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন
আরও খবর দেখুন