কলকাতা: আমাদের অনেকেরই জীবনের নিত্য সঙ্গী ট্রেন (Train)। প্রতিদিনই দেশের কোটি কোটি মানুষ কর্মসূত্রে বা অন্য কাজে ভারতীয় রেল (Indian Railway) পরিবহন ব্যবস্থার উপরেই আস্থা রাখেন। কারণ ট্রেনের যাত্রা কম দামে অনেক বেশি আরামদায়ক। আমাদের দেশে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৮,৫০০ রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। ট্রেনে তো চড়েন কখন কী খেয়াল করে দেখেছেন, এক একটি স্টেশনের নামের শেষ এক এক রকম। কোনওটির সঙ্গে যুক্ত থাকে জংশন, কোনওটির সাথে যুক্ত থাকে রোড, কোনও স্টেশনের নামের আগে সেন্ট্রাল, টার্মিনালও লেখা থাকে। আবার কোনও কোনও স্টেশনের নামের পাশে পিএইচ (PH) লেখা থাকে। জানেন এই পিএইচ (PH) লেখার মানেই বা কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পিএইচ (PH) মানে ‘প্যাসেঞ্জার হল্ট’। যখন কোনও স্টেশনের নাম পিএইচ দিয়ে লেখা হয়, তখন এর অর্থ ওই স্টেশনে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন থামবে। এই স্টেশনগুলি অন্যদের থেকে একটু স্পেশ্যাল বা বিশেষ। কারণ এখানে রেলওয়ে কর্তৃক কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগ করা হয় না। প্যাসেঞ্জার স্টপ হল একটি ডি ক্লাস স্টেশন। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এখানে ট্রেন থামানোর সংকেত দেওয়ার মতো কোনও আধিকারিক থাকেন না।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, স্টেশনে যখন কোনও সিগন্যাল নেই বা কোনও আধিকারিক নেই তখন ট্রেনগুলি এখানে থামে কীভাবে? ট্রেন চালকরা সাধারণত এই ধরণের স্টেশনগুলিতে প্রায় ২ মিনিটের জন্য ট্রেন থামানোর নির্দেশ পান। এ ছাড়া একটি প্রশ্নও ওঠে, এখানে যখন কোনও কর্মী উপস্থিত থাকে না, তখন কে টিকিট বিক্রি করে? প্রকৃতপক্ষে, এই জাতীয় ডি শ্রেণীর স্টেশনগুলিতে রেলওয়ে চুক্তি বা কমিশন ভিত্তিতে টিকিট বিক্রির জন্য স্থানীয় ব্যক্তিকে নিয়োগ করে।