কলকাতা: খড়গপুর লোকাল থানার তিন নম্বর লজমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দনগর মৌজার মহিষা গ্রামে রয়েছে মা মনসা দেবীর মন্দির। অনেকে এই মন্দিরকে মাদপুরের মনসা দেবীর মন্দির বলেও ডাকেন। খড়গপুর থেকে হাওড়াগামী রেললাইনের পাশে মাদপুরের কাছে ফাঁকা মাঠে মনসা দেবীর অবস্থান। মাদপুরের এই মনসা দেবীর মন্দিরকে নিয়ে বহু অলৌকিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে।
মাদপুরের মনসা মায়ের নানা মহিমা বহুল প্রচলিত৷ শোনা যায় কেউ কোন কিছু মনস্কমনা করলে সেইচ্ছে মা পূরন করেন৷ সে সন্তান লাভ হোক, কিংবা বেকারত্ব, সাংসারিক কষ্ট, অসুস্থতা থেকে মুক্তি সবকিছুই৷ অনেক সময় বাড়ির গরু, ছাগল হারিয়ে গেলে তাদের ব্যবহার করা গলার দড়ির টুকরো নিয়ে মায়ের কাছে খুঁজে দেওয়ার মনোবাঞ্ছা জানালেও তা পূর্ণ হয়৷ বহুদূর থেকে বহু ভক্ত মায়ের কাছে ছুটে আসেন মানত করতে, কেউ আসেন মানত পূরন করতে। এমনকি পাশ দিয়ে যাওয়া ট্রেনগুলিও অনেক সময় গতি কমিয়ে দেয়, কখন কখন ট্রেনের চালক ভক্তিভরে মাকে প্রনাম জানিয়ে নিজের পথে চলা শুরু করে৷
জকপুরের কাছে এই অঞ্চলটি আগে জঙ্গল ছিল, যা মনসার জঙ্গল বলে পরিচিত ছিল। প্রায় ৪০০ বছর আগে এই মইষ্যা গ্রামটি ছিল জকপুরের জমিদার যোগেশ্বর রায়ের জমিদারির অন্তর্গত। একদিন ভোররাতে জমিদার স্বপ্নাদেশ পান ওই জঙ্গলেই মা আছেন।