কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে চিনে। করোনার ভাইরাসের প্রকোপে নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে বেজিং এও। সূত্রের খবর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন। এখনও পর্যন্ত সেখানে করোনায় আক্রান্ত ৬০৩ জন। যাদের মধ্যে ৫৮২ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাই সংক্রমণের গ্রাফ বৃদ্ধির আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ, বাজার-হাট।
বাতিল হয়েছে একাধিক উড়ান। সূত্রের খবর শতাধিক বিমান বাতিল করা হয়েছে চিনে। এছাড়াও রাশ টানা হয়েছে হংকং এর সিনেমা হল, বার এবং অন্যান্য অনেক পরিষেবায়।পর্যটকদের মধ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মেলায় আগে থেকেই সাবধান হতে এই পদক্ষেপ করতে শুরু করে দিয়েছে চিনা সরকার।তবে বেইজিংয়ের বাইরে নিয়মিত পরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও, জনগণকে প্রয়োজন ছাড়া শহর ছেড়ে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন মাদক-কাণ্ডে বম্বে হাই কোর্টে আরিয়ানের জামিনের শুনানি
গত ২ বছর আগে চিন থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। যা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা, মতবাদ বিতক্ত সবই শুরু হয়। সে কারণে এক প্রকার গোটা বিশ্বে কোনঠাসা হয়ে রয়েছে চিন। গত দু’বছর ধরে এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে গোটা বিশ্ব। যার জেরে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রবল ধাক্কা এসেছে। চিন থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ালেও সবার আগে তারাই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল। যদিও তারপর চিন করোনা শূন্য হয়ে গেছিল বলেই দাবি করেন চিনা সরকার। ফলে দিরে ব্ধিরে শিথিল হতে থাকে চিনা করোনা বিধি। খুলে যায় স্কুল কলেজ, অফিস। শুরু হয় যান চলাচল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বুঝেই যে বাজার থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো শুরু হয় সেই ইউহানেও খুলে দেওয়া হয় মাংসের বাজার। এমন কি দোকান বাজারও অনেকটাই স্বাভাবিক করে ফেলেছিল তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ করেই চিত্রটা পাল্টে যায়।
আরও পড়ুন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রাজ্যপাল, ফোনে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করে সেখানে। জানা যায় এক প্রবীণ পর্যটক সাংহাই থেকে শিয়ানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁর শরীরেই দ্বিতীয় বারের জন্য প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরেই চিনের ৫টি প্রদেশে ক্রমাগত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে গণ পরীক্ষা শুরু করা হলে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এবং এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের যে মারাত্মক সংক্রামক তা আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে চিনে আবারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আশঙ্কা বাড়ছে গোটা বিশ্বে।