কলকাতা: স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে (WBSSC Recruitment Controversy) চ্যালেঞ্জ করে, ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। নিয়মবহির্ভূত নিয়োগের কথা বলে ৫৭৩ জন স্কুলকর্মীকে (SSC Group-D) অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার রাজ্যের এই মামলাটি (High Court) গ্রহণ করেছে। শুধু রাজ্য নয়, ডিভিশন বেঞ্চ নিযুক্ত বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটিও সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ের বিরোধিতা (SSC Report) করে পৃথক আবেদন করেছিল।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটিকে অন্তর্বর্তীকালীন একটি রিপোর্ট পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছিল। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ তা-ও এদিন খারিজ করে দেয়। আজ, সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটিকে এই রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলায়, সিঙ্গল বেঞ্চে এ দিন শুনানি স্থগিত হয়ে যায়।
ডিভিশন বেঞ্চে অনুসন্ধান কমিটির সময় বাড়ানোর আবেদনের নিষ্পত্তি না-হওয়ার আগেই কী ভাবে বিচারবিভাগীয় কমিটি নিয়ে পর্যবেক্ষণ জানাল সিঙ্গল বেঞ্চ, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই অনুসন্ধান কমিটির অন্যতম সদস্যও। এ নিয়ে সওয়াল-জবাবের পরেই সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Bengal Civic Polls 2022: দ্বিতীয় দফার পুরভোট বাতিলের দাবিতে আদালতে বিজেপি, মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা
এসএসসি গ্রুপ-ডি’র (School Service Commission) শুনানি চলাকালীন দুর্নীতি অনুসন্ধান কমিটি অতিরিক্ত চার মাস সময় চাইলে, ডিভিশন বেঞ্চ তা-ও মঞ্জুর করে। অনুসন্ধান কমিটির বক্তব্য ছিল, কোভিড পরিস্থিতির কারণেই সময় লাগছে। ৩০-৩৫ জনকে সামনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই অতিরিক্ত চার মাস সময় চাই। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ সেই আর্জি মঞ্জুর করে।
সিএসসি-র মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে ৫৭৩ জনকে গ্রুপ ডি (SSC Group-D) পদে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল। তার প্রেক্ষিতেই এই নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেইসঙ্গে এতদিন বেতনবাবদ এই ৫৭৩ জনকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা-ও আদায় করার নির্দেশ দেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি। বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটির তদন্ত চলাকালীন কী করে সিঙ্গল বেঞ্চ এই রায় দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় অনুসন্ধান কমিটি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: চারে চার, ভালবাসার দিনে মমতাকেই ভালবাসল বাংলা