কিভ: আন্তর্জাতিক চাপের তোয়াক্কা না-করে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন (Russia-Ukraine war) অব্যাহত। ইউক্রেনকে সামরিক অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করলে, ফল ভাল হবে না বলে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। সোমবার বেলারুশে যুদ্ধরত দু’দেশের মধ্যে তৃতীয় দফায় শান্তিবৈঠকও নিষ্ফলা থেকে গিয়েছে। এই অবস্থায় পুতিন বাহিনী যে হামলা আরও জোরদার করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রুশ গোলাবারুদ, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বস্ত ইউক্রেনের একাধিক শহর। ফলে, প্রাণরক্ষার তাগিদেই রোজ কাতারে কাতারে ইউক্রেনীয় নাগরিক দেশ ছাড়ছেন। ইউক্রেনের সরকারি সূত্রে, ইতিমধ্যে ১৭ লক্ষ স্বদেশীয় নাগরিক (1.7 million people fled Ukraine) ইউক্রেন ছেড়েছেন। ইউক্রেনের প্রকৃত শরণার্থীর সংখ্যা কত, তা অজানাই।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দু’দিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘রাশিয়া যা করেছে, এটা টেরর ছাড়া কিছু নয়।’ জেলেনস্কির এই ক্ষোভপ্রকাশের কারণ রাতের অন্ধকারে বেছে বেছে ইউক্রেনের আবাসিক এলাকাগুলিতে রুশ গোলাবর্ষণ। রুশ সেনার মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
Since the start of the full-fledged war, 1.7 million people have fled Ukraine, @Refugees reports.
— UkraineWorld (@ukraine_world) March 8, 2022
রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়তে নারাজ ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সার্গেই লভরভের সঙ্গে ১০ মার্চ আবারও বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছেন দিমিত্রো।
মঙ্গলবারও রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে ইউক্রেনে। সুমিতে বোমা হামলায় কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেই সুমিতেই এখনও আটকে রয়েছেন কয়েকশো পড়ুয়া। সোমবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) উদ্ধারকাজ নিয়ে নালিশ করেছে নয়াদিল্লি। এই নালিশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুমি শহরে আটকে থাকা (evacuate Indian citizens from Sumy) ভারত-সহ অন্যান্য বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য ‘হিউম্যানিটরিয়ান করিডর’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের খবর অনুযায়ী, সুমি শহরে আটকে পড়া ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে হিউম্যানিটরিয়ান করিডর করে, অপারেশন গঙ্গার ফ্লাইটে দেশে ফেরানো হচ্ছে। সুমি থেকে ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর পোলটাভা হয়ে ওই পড়ুয়ারা দেশে ফিরবেন। সেখানে উদ্ধারকাজে তদারকি করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।