মালদহ: তল্লাশি চালানোর নামে গাড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে লুটপাট ও ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে৷ মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার শরীয়ত টোলা গ্রামের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়৷ এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার এবং বৈষ্ণবনগর থানার আইসিকে বারবার ফোন করা হয়৷ কিন্তু কেউই ফোন ধরেননি৷ যদিও অতিরিক্ত পুলিস সুপার গ্রামীণ আনিস সরকার জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
পুলিসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷ অবিলম্বে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু৷ তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, মারধর করা এগুলো তো বাংলার প্রতিদিনের ঘটনা৷ এএসআই কী বাড়িতে ভাঙচুর করতে পারেন? আদালতের কোনও নির্দেশ ছিল?’ পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল৷ জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সারা দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলা৷ দোষ যেই করুক না কেন বাংলায় তার শাস্তি হয়৷ অভিযুক্ত একজন পুলিশ হলেও তিনি শাস্তি পাবেন৷’
পুলিস সূত্রে খবর,
পুরনো একটি মামলায় গাড়ি ব্যবসায়ী ফকিরউদ্দিন আহমেদের বাড়িতে তল্লাশি করতে যান বৈষ্ণব নগর থানায় কর্তব্যরত এএসআই নইমুদ্দিন সেখ৷ সেই সময় ফকিরউদ্দিন বাড়িতে ছিলেন না৷ তাঁর স্ত্রী ববি বিবির অভিযোগ, স্বামী বাড়িতে নেই বলতেই হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে৷ লোহার গেটের হ্যাজবোল্ট ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশকর্মীরা৷ বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি লুঠ করা হয় ৪৫ হাজার টাকা৷ এমনকি তাঁকে মারধর করা হয়৷ এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ পুলিসের বিরুদ্ধে তাণ্ডবের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কালিয়াচক 3 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আশরাফুল ইসলাম৷
আরও পড়ুন: Jahangirpuri Clash: দিল্লির সংঘর্ষে ধৃত পূর্ব মেদিনীপুরের আনসার ও আসলাম, মানতেই পারছেন না স্থানীয়রা