কোচবিহার: দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পরেশ অধিকারীকে বরখাস্তের দাবি তুলল সিপিএম৷ বৃহস্পতিবার কোচবিহারে এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ওই দাবি করে বলেন, ‘ওই দু’জনকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে৷’ তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তৃণমূল৷ শিক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে৷ খোদ মন্ত্রীরা সেই দুর্নীতিতে যুক্ত৷
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিকে ইতিমধ্যেই ইস্যু করে রাজ্যে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিএম৷ সিপিএমের ছাত্র এবং যুব সংগঠন বুধবার রাত থেকেই পথে নেমে পড়েছে৷ বৃহস্পতিবার বিধাননগরে এসএসসি-র অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর আগেই পুলিসের সঙ্গে এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের তুমুল ধস্তাধস্তি হয়৷ বেশ কয়েকজনকে চ্যাংদোলা করে পুলিস ভ্যানে তোলে৷ তাঁদের আটকও করা হয়৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এদিন মেয়ো রোডে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে হাজির হয়ে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দেন৷ তিনি জানান, বিষয়টি সংসদে তোলা হবে৷ আন্দোলনে নেমে পড়েছে বিজেপিও৷ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত যত অগ্রসর হবে, তত দুর্নীতির আরও অভিযোগ সামনে আসবে৷
কোচবিহারে সেলিম বলেন, দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের যখন সিবিআই ডেকেছে, তখন উচিত ছিল দু’জনেরই ইস্তফা দেওয়া বা তাঁদের বরখাস্ত করার৷ কিন্তু তাঁরা নির্লজ্জের মতো এখন ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছেন৷ শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী তাঁর মেয়ের চাকরির ব্যাপারে প্রভাব খাঁটিয়েছেন৷ স্কুল সার্ভিস কমিশন শুধু নয়, কলেজ সার্ভিস কমিশনকেও এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে৷ সেলিমের অভিযোগ, মন্ত্রী কন্যাকে বেআইনিভাবে কলেজের চাকরিতেও ঢোকানোর ব্যবস্থা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে৷ সমস্ত প্রমাণ রয়েছে৷ সব তদন্তে বার করতে হবে সিবিআইকে৷