ইসলামাবাদ: দেশের রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সংকটের জেরে উদ্ভূত অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে শাসকদল অনেক সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পথে হাঁটতে বাধ্য হয়৷ কিন্তু ধর্ষণ ঠেকাতে জরুরি অবস্থা! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই হয়েছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে৷ ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন শাহবাজ শরিফ৷ রাজনৈতিক পালাবদল সত্ত্বেও পঞ্জাব প্রদেশের আইনশৃঙ্খলায় কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ বরং দিন দিন চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে৷ প্রতিদিন গড়ে পাঁচ-ছয়টি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হচ্ছে পঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন থানায়৷ ধর্ষণের মতো ঘটনার বাড়বাড়ন্তে ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মধ্যে৷ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন৷ এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্তা তারার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতনের মতো ঘটনায় লাগাম টানতে তারা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছে৷
শুধু পঞ্জাব নয়, পাকিস্তানে সার্বিকভাবে মহিলাদের উপর যৌন নিগ্রহের মতো ঘটনা বাড়ছে৷ কর্মক্ষেত্র হোক কিংবা বাড়ি, সব জায়গাতেই তাঁরা যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছেন৷ ঘরে ঘরে বাড়ছে গার্হস্থ্য হিংসা৷ ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত চার বছরে ১৪ হাজার ৪৫৬ জন পাক মহিলা যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন৷ সবথেকে বেশি ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাব প্রদেশে৷ তবে সেখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে তথ্য তুলে ধরেছেন তাতে আঁতকে উঠেছেন নারীবাদীরা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিদিন থানায় চার-পাঁচটা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হচ্ছে৷ যৌন হেনস্তার মতো ঘটনার মোকাবিলায় পঞ্জাব সরকার কিছু বিশেষ পদক্ষেপ করার কথা চিন্তাভাবনা করেছে৷ এরপরই তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা জানান৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণের মতো ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই পদক্ষেপ৷ সরকার ধর্ষণ-রোধে প্রচার চালাবে৷ স্কুল-কলেজগুলিতে যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা হবে৷ তবে বাবা-মায়েদেরও তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে৷
আরও পড়ুন: Afghanistan Earthquake: আফগানিস্তান যেন মৃত্যুপুরী, মৃতের সংখ্যা ৯০০ পার