বেঙ্গালুরু: ভারতে ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন (Omicron India)৷ আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কর্নাটকে দুই ব্যক্তির জিনোম সিকোয়েন্সিয়ে ধরা পড়েছে ওমিক্রন৷ যদিও গোপনীয়তা রক্ষার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি৷ কিন্তু কর্নাটকের স্বাস্থ্যকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আক্রান্তদের একজন স্থানীয় চিকিৎসক৷ তাঁর কোনও ট্র্যাভেল হিস্ট্রি খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা বা অন্য কোনও দেশে না গিয়েই তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন৷ যার ফলে মনে করা হচ্ছে, তিনি কোনও ওমিক্রন আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন৷ অন্যদিকে ওমিক্রনে আক্রান্ত আরেক জন দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা৷ যিনি দিন কয়েক আগেই ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর, তিনি গত ২৭ নভেম্বর দুবাইয়ে চলে গিয়েছেন৷
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৬৬ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকার ওই নাগরিক গত ২০ নভেম্বর বেঙ্গালুরু পৌঁছন৷ একটি হোটেলে চেক ইন করেন৷ আর সেই দিনই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ তখন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা তাঁকে হোটেলে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন৷ স্বাস্থ্য কর্তারা জানতে পারেন, আক্রান্ত ব্যক্তির করোনা টিকার দু’টো ডোজই নেওয়া৷ এর দু’দিন পর অর্থাৎ ২২ নভেম্বর তাঁর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিয়ে পাঠানো হয়৷
আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রনে আক্রান্ত? কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন?
জিনোম সিকোয়েন্সিয়ে ওমিক্রন ধরা পড়ে৷ কিন্তু ততদিনে ওই ব্যক্তি ভারত ছেড়ে দুবাই চলে গিয়েছেন৷ জানা গিয়েছে, গত ২৭ নভেম্বর তিনি হোটেল ছাড়েন৷ তার পর ক্যাব বুক করে বিমানবন্দর চলে যান৷ কিন্তু কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়েই তিনি বিমানে চড়েন৷ কর্নাটকের স্বাস্থ্যকর্তারা জানতে পেরেছেন, ওই ব্যক্তি গত ২৩ নভেম্বর একটি বেসরকারি ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন৷ সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে৷ তার পর ২৭ তারিখ তিনি হোটেল ছাড়েন৷
দক্ষিণ আফ্রিকার ওই ব্যক্তি ছাড়াও বেঙ্গালুরুর ৪৬ বছর বয়সী এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে৷ কিন্তু ঘটনা হল, ওই ব্যক্তির কোনও ট্র্যাভেল হিস্ট্রি নেই৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল৷ বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন৷