লখনউ: গো-হত্যায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিস৷ সেই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের মায়ের৷ অভিযোগ, পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে রোশনি নামে ওই মহিলার৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার৷ এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা৷ পুলিসের উপর রাগ-ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার মানুষ৷ চাপের মুখে কয়েকজন পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে জেলা পুলিস৷
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে৷ একটি গো-হত্যার তদন্তে স্থানীয় পুলিসকে নিয়ে ইসলামনগর গ্রামে যায় স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ৷ ওই গ্রামে বাড়ি আব্দুল রহমানের৷ গো-হত্যার অভিযোগে নাম জড়ায় তাঁর৷ আব্দুলকে গ্রেফতার করতে তাঁর বাড়ি পৌঁছয় পুলিস৷ আব্দুল বলেন, ‘বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে মুম্বই থেকে ৯ মে বাড়ি ফিরে আসি৷ শনিবার রাতে আমি ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম৷ হঠাৎ পুলিস এসে ডাকাডাকি শুরু করে৷ আমায় ওরা নিয়ে যেতে এসেছিল৷ তখন মা পুলিসকর্মীদের বাধা দেয়৷ বাধা পেয়ে পুলিস গুলি চালায়৷ তার জেরে মায়ের মৃত্যু হয়৷’
পরিবারের দাবি, পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আব্দুলের মায়ের৷ কিন্তু পুলিসের দাবি, কীভাবে মহিলার মৃত্যু হল তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ৷ পুলিস আব্দুলকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল৷ কিন্তু অভিযুক্তের মা বাধা দেয়৷ তখন আশেপাশের মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে যায়৷ তারা পুলিসের উপর আক্রমণ করে৷ ওই ভিড়ের মধ্যে থেকে গুলিও চালানো হয়৷ আত্মরক্ষার্থে পুলিসও তখন গুলি চালায়৷
পুলিসের বিরুদ্ধে সদর থানায় কয়েকজন অপরিচিত পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পরিবার৷ মৃতার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, পুলিস রোশনির উপর গুলি চালানোর হুমকি দিয়েছিল৷ ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন মা৷ যদিও জেলার পুলিস সুপার ধর্মেন্দ্রকুমার যাদব জানিয়েছেন, ওই মহিলা পুলিসের গুলিতে মারা গিয়েছেন কি না তা তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে৷