কলকাতা: দুর্গা প্রতিমা ভাসানের আগে মেয়েদের সিঁদুর খেলা তো মাস্ট৷ সঙ্গে ছেলেদের ধুনুচি নাচ৷ তার পর চলে আসে সেই মুহূর্ত৷ মাকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে৷ সেটা দেখে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে বাঙালির৷ কিন্তু যেখানে মদন মিত্র থাকেন সেখানে এত সহজে মন খারাপের প্রশ্নই ওঠে না৷ মদন মিত্র মানেই ‘এন্টারটেইনমেন্ট’৷ সেই তিনি আজ রবিবার দ্বাদশীর দুপুরে হাজির হন উত্তর কলকাতার দুটো পুজো মণ্ডপে৷ মাকে তখন বরণ করছিলেন মহিলারা৷ চলছিল সিঁদুর খেলা৷ সকলের ভীষণ মন খারাপ৷ কিন্তু মদনকে দেখা মাত্রই মন খারাপ উবে যায় বাঙালির৷
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলিতে, জানাল হাওয়া অফিস
পরনে কালো পাঞ্জাবি, গলায় হলুদ ওড়না, চোখে কালো রোদচশমা৷ এই লুকে তৃণমূলের ‘কালারফুল’ বিধায়ক হাজির হন নর্থ ত্রিধারা এবং সিকদার বাগানের পুজো মণ্ডপে৷ প্রথমে যান নর্থ ত্রিধারায়৷ তখন মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে ছিলেন মহিলারা৷ মদন মিত্র এসেছেন শুনেই সাড়া পড়ে যায় মহিলা মহলে৷ কামারহাটির বিধায়ককে স্বাগত জানাতে ছুটে যান তাঁরা৷ হাসতে হাসতে মদনও এগিয়ে চলেন মণ্ডপের দিকে৷ সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷ ক্যামেরার সামনে পোজ দেন৷ হাসি-ঠাট্টায় মাতিয়ে দেন সকলকে৷
মদন মিত্র মানেই ছকভাঙা৷ নইলে দশমীর বিজয়া অনুষ্ঠান মানেই নামী পুজো প্যান্ডেলগুলোতে মহিলা সেলিব্রিটিদের ভিড়৷ মহিলাদের ছাড়া সিঁদুর খেলা তো ভাবাই যায় না৷ সেই সিঁদুর খেলাতে এবার ভাগ বসালেন মদন মিত্র৷ এতেই বোঝাই যায় তাঁর কী ক্রেজ৷ পুজো মণ্ডপে গিয়ে সিঁদুর খেলায় অংশ নেন৷ জমিয়ে ঢাক বাজান৷ ধুনুচি নাচ করেন৷ ‘ও লাভলি’ গান গাইয়ে শুনিয়ে দেন৷ তাঁর সহজ সরল কথা, ‘কোথায় লেখা আছে ছেলেরা বরণ করতে পারবে না’৷ তার পরই গেয়ে ওঠেন, ‘সকলই তোমার ইচ্ছা.. তোমার কর্ম তুমি করো মা..৷’
আরও পড়ুন: হিংসা ছড়াবেন না, পুজো মণ্ডপের বোমাবাজি নিয়ে কড়া বার্তা আসানসোল পুলিশের
এই মদনকে একাদশীর দিন ফেসবুক লাইভে হুঙ্কার দিতে দেখা গিয়েছিল৷ কামারহাটির মাঠ দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ফেসবুক লাইভে প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন৷ হুমকি দিয়ে বলেন, ‘মেঘনাথ মাঠে হাত দিতে গেলে হাতের পাঞ্জা কেটে দেব৷ আমি মদন মিত্র৷’ পরে অবশ্য ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন৷ বলেন, ‘উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছি৷’ তবে এদিনও মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে প্রোমোটারদের কড়া বার্তা দেন৷ বলেন, মায়ের সামনে বলে যাই, যতই নাড়ো আড়কাঠি, পাবে না গো কামারহাটি’৷