কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি (Group C) নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়মে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগও অনিয়মে ভরা। এর পিছনে কারা, তাঁদের খুঁজে বের করতে বিশদ নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার তুলে দিল বিচারবিভগীয় অনুসন্ধান কমিটির হাতে । ওই কমিটিকে ৪ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রুপ ডি-র মতো গ্রুপ সি-র নিয়োগেও বিস্তর অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নিয়োগের বিরুদ্ধে সিবিআই ও অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার তা চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে। ওই বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আগেই। এদিনও ডিভিশন বেঞ্চ সেই স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি-র নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ ছিল এত মাসের মধ্যে সিবিআইকে তাদের অনুসন্ধান রিপোর্ট পেশ করতে হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি পদে ৫০৩ জনের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে কখনও নিয়োগের সুপারিশ করা যায় না। স্কুল সার্ভিস কমিশন হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, তারা কোনও সুপারিশ পত্র দেয়নি। আবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, ওই ৫০৩ জনের নিয়োগের ব্যাপারে কমিশনই সুপারিশপত্র পাঠিয়েছে। এরপরই আদালত নিয়োগ বাতিলের কথা ঘোষণা করে। আদালত বলে, স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপারিশ না করলে কীভাবে এই নিয়োগ হল, সে ব্যাপারেই অনুসন্ধান করবে সিবিআই।