বীরভূম: বৈশাখের শেষ কালবৈশাখী ঝড়ে রবিবার বীরভূমের বেশকিছু এলাকায় বাড়ি ভেঙেছে৷ রাস্তায় ভেঙে পড়ে গাছপালা৷ তার জেরে সোমবার সকালেও সাইকেল ও গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ৷ রবিবার বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের নানশোল অঞ্চলে বেশকিছু বাড়ি ঝড়ের দাপটে ভেঙে যায়৷ বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে গিয়ে কিছু গ্রামে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ ঝড়বৃষ্টিতে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও মাঠের ফসল থেকে শুরু করে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মাথায় হাত পড়ে যায় অনেকের৷
রবিবার রাতে বীরভূমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আচমকাই মেঘের গুরগুর ডাক শোনা যায়৷ তারপরই কালবৈশাখীর আগমনের আগাম ইঙ্গিত দিয়ে ওঠে ঝোড়ো হাওয়া৷ শুরু হয় ঝড়ের তাণ্ডব৷ সঙ্গে ঝেঁপে নামে বৃষ্টি৷ ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে বহু কাঁচাবাড়ি৷ নানাশোল অঞ্চলে বেশ কিছু মাটির বাড়ি ভেঙে যায়৷ কিছু বাড়ির টিনের ছাউনি ঝড়ে উড়ে যায়৷ অনেক জায়গায় গাছ মাটি থেকে উপড়ে রাস্তায় পড়ে যায়৷ যান চলাচল সাময়িক ব্যাহত হয়৷ সোমবার সকাল থেকে রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ চলে৷
প্রশাসন জানিয়েছে, বীরভূমের নানাশোল অঞ্চলের পাশাপাশি ইলামবাজার ব্লকের গোপালনগর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে বেশি কিছু মাটির বাড়ির ক্ষতি হয়েছে৷ তারের উপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়৷ কালবৈশাখীর ঝড়ে বীরভূমে এর আগেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ চৈত্র-বৈশাখের গরমে বীরভূমের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে৷ প্রত্যেকেই চরম অস্বস্তিতে ছিলেন৷ কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টিতে তাপমাত্রা একধাক্কায় কমে যায় বটে৷ কিন্তু বাড়িঘর ভেঙে ক্ষতির মুখে পড়েন অনেকে৷
আরও পড়ুন: Bowbazar: দুর্গা পিটুরি লেনের বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙা হবে সোমবারই