বনগাঁ: লাভ, সেক্স তারপর ধোকা (Love Sex aur Dhoka)৷ আত্মঘাতী প্রেমিকা৷
সেই প্রেমিকার দেহ নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাল মেয়েটির পরিবার৷ রবিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে বনগাঁ (Bongaon) থানার ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলতলা এলাকায়৷ পরিবারের দাবি, ছেলেটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে তাদের মেয়ে রিয়া গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল৷ প্রেমিককে সে একথা জানিয়েও ছিল৷ তাই ছেলেটিকে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করেছিল৷ কিন্তু ছেলেটি দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে৷ মেয়েটির পরিবারের দাবি, ছেলেটি রিয়াকে বলেছিল, ‘তোমাকে বিয়ে করলে আমার মা আত্মহত্যা করবে৷ তোমার জন্য আমি মাকে হারাতে পারব না৷ তুমি চলে গেলে আমার কিছু যায় আসে না৷’
প্রেমিকের মুখে কথাগুলি শুনে ভেঙে পড়েছিল রিয়া৷ অভিমানে শনিবার দুপুরে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে গলায় দড়ি আত্মহত্যা করে৷ পরেরদিন প্রেমিকার মৃতদেহ নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় মেয়েটির পরিবার৷ মৃতার দিদির সুদীপা দাসের অভিযোগ, ‘তিন বছর ধরে সুরজ বিশ্বাস নামে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আমার বোনের৷ কিন্তু গত ১১ মাস ধরে সুরজ আমার বোনকে পাত্তা দিচ্ছিল না৷ একটি নতুন মেয়ে ছেলেটির জীবনে আসে৷ এ নিয়ে সুরজের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল রিয়ার৷ অথচ বোনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ছেলেটি৷ বহুবার দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ যার জেরে রিয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল৷’ সেই প্রমাণ পরিবার হাতে পেয়েছে৷ সুরজ সব জানার পর রিয়াকে সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ৷ রিয়া তারপরেও বিয়ের কথা বললে সুরজ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সে তাঁকে বিয়ে করতে পারবে না৷
এরপরই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় রিয়া৷ মৃতার কাকা সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, আত্মহত্যার আগে রিয়া শুধু সুরজকে বলেছিল, তুমি যেটা করেছ সেটা ঠিক করোনি৷ যে হাতে আমাকে সিঁদুর পরিয়েছিল, সেই হাত দিয়েই আমার মুখাগ্নি করবে৷ রিয়া এগুলো লিখে গিয়েছে৷ তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে দেহ নিয়ে বনগাঁয় এসেছে পরিবার৷ সঞ্জয় দাস আরও জানিয়েছেন, কৃষ্ণনগর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ কিন্তু কেস নম্বর হাতে পাইনি৷ এদিকে খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে৷ বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রিয়ার দিদি সুদীপা দাস। পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃতদেহ নিয়ে চলে যান পরিবারের লোকজন তবে অভিযুক্ত পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।