নয়াদিল্লি: শোনা যায়, কংগ্রেসের নেতৃত্ব বদলের দাবিতে দলের অভ্যন্তরে তিনিই সবচেয়ে বেশি সোচ্চার৷ বিক্ষুব্ধ সেই জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad Meets Sonia Gandhi) গলায় শোনা গেল অন্য সুর৷ তিনি জানিয়ে দেন, দলগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীরই (Sonia Gandhi as Congress Chairperson) দায়িত্ব পালন করা উচিত৷ শুক্রবার কংগ্রেসের বরিষ্ঠ এই নেতা দেখা করেন সোনিয়ার সঙ্গে৷ পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আলোচনা ভালো হয়েছে৷’’
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর গত রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ছিল৷ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অশান্তির ঝড় উঠবে এমনটা আশঙ্কা করা গিয়েছিল৷ বিক্ষুব্ধরা নেতৃত্ব বদলের দাবি জানাবেন এমনটাও ভাবা হয়েছিল৷ কিন্তু বাস্তবে সে সব কিছুই হয়নি৷ ওয়ার্কিং কমিটি গান্ধী পরিবারের উপর আস্থা রাখে৷ জানিয়ে দেয়, দলের এমন বিশ্রি হারের জন্য গান্ধী পরিবারকে একা দায়ী করা ঠিক নয়৷ বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা নেতৃত্ব বদল নিয়ে বৈঠকে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি৷ তবে সোনিয়া গান্ধী নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন৷ গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ ওয়ার্কিং কমিটির নেতারা সেটা হতে দেননি৷
ওই বৈঠকের পাঁচদিনের মাথায় সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন গুলাম নবি আজাদ৷ রাজ্যসভার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের কথায়, ‘পাঁচ রাজ্যে ভোটে হারের কারণ জানতে চেয়েছিল ওয়ার্কিং কমিটি৷ এছাড়া কিছু পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল৷ যাতে পরের বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে কংগ্রেস ভালো ফল করতে পারে৷ আসন্ন নির্বাচনগুলিতে দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে৷ এখানে নেতৃত্ব বদলের কোনও প্রশ্নই নেই৷ ওয়ার্কিং কমিটির প্রত্যেক সদস্যই জানিয়ে দিয়েছে, সোনিয়া গান্ধীর সভানেত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত৷
আরও পড়ুন: Congress Sonia Gandhi: চরম সংকটে সোনিয়ার দল
গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে সোনিয়ার আলাদা বৈঠককে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে কাছে টানার কৌশল হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক মহল৷ এর আগে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর আরেক নেতা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে দেখা করেন রাহুল৷ গত বুধবারের জি-২৩ গোষ্ঠীর তৃতীয় বৈঠকে হুডাও উপস্থিত ছিলেন৷ সূত্রের দাবি, রাহুলের কাছে হুডা সরাসরি অভিযোগ করেন, দলের সিদ্ধান্তের কথা তাঁরা মিডিয়ার কাছ থেকে পাচ্ছেন৷ তিনি জানতে চান, কে দলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? সোনিয়া নাকি রাহুল? নাকি অন্য কেউ? হুডার মতে, বৈঠক করে তাঁরা কোনও দলবিরোধী কাজ করেননি৷ দল শক্তিশালী হয়ে উঠুক সেটাই চান তাঁরা৷ হুডার বক্তব্য, দল এমন এক মডেল গ্রহণ করুক যেখানে সব নেতার মতামত গুরুত্ব পাবে এবং সর্বসম্মতভাবে দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে৷