কলকাতা: কোটি কোটি একর জুড়ে বিস্তৃত আমাজন জঙ্গলের বেশিরভাগ জায়গায় এখনও কোনও মানুষ পৌঁছায়নি। রহস্যে ভরা এই জঙ্গল ন’টি দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে রয়েছে। এই জঙ্গলে এমন প্রজাতির পশু-পাখি, গাছ-গাছালি রয়েছে, যাদের সম্পর্কে আমাদের এখনও কোনও ধারণা নেই।
পেরুর আমাজনের গভীরে বইছে সে। ফুটন্ত নদীর জল। তার ভিতরে যা পড়ে সব কিছুকে গ্রাস করে নেয় সেই নদী। বিজ্ঞানীরা এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম থার্মাল রিভার বলে মনে করছেন। এই নদীর জল ফুটছে কেন, তার কারণ বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা। ইনকাদের কাছে সেই নদী ছিল সূর্যদেবের জলস্রোত। সূর্যের তাপেই ফুটত নদীর জল, এমনই বিশ্বাস ছিল প্রাচীন এই জনজাতির।
আরও পড়ুন: River | সব নদীর উল্টো পথে বয়ে চলেছে ভারতের এই নদী!
এই নদীটি ২০১১ সালে ভূতত্ত্ববিদ আন্দ্রে রুজো আবিষ্কার করেছিলেন। আন্দ্রে রুজো ফুটন্ত নদী আবিষ্কারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। এটি মায়ানতুইয়াকু নদী নামেও পরিচিত। আসলে আন্দ্রে ছোটবেলায় দাদুর কাছ থেকে ফুটন্ত নদীর গল্প শুনতেন। বৈজ্ঞানিক আন্দ্রে নিশ্চিত ছিলেন, লোককাহিনীতে যদি এটি উল্লেখ করা হয়, তবে বাস্তবে এমন একটি নদী অবশ্যই থাকবে।
পেরুবাসীদের হাত ধরেই আলু খাওয়া শিখেছে বিশ্ব। প্রায় চার হাজার প্রজাতির আলু জন্মায় দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে। আলুকে নিয়ে একাধিক লোকসংগীত রয়েছে সেখানে।