কলকাতা: খুব একটা প্রাচীন নয়। গত শতকের মাঝামাঝি স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। জানা গিয়েছে, স্বপ্নে মন্দির প্রতিষ্ঠার নির্দেশ পান হরিপদ চক্রবর্তী। কিন্তু গরিব মানুষ এত টাকা পাবেন কোথা থেকে? ভক্তকে আশ্বাস দেন দেবী স্বয়ং। বলেন, পুজোর ভার তিনি নিজেই নেবেন। সেই পর্ণকুটিরই আজকের লেক কালীবাড়ি। ভক্তদের সাহায্যেই চলে মন্দির। কলকাতার ব্যস্ত রাস্তার ধারে রোজই বিপুল ভক্ত সমাগম। তবে কালীপুজোর দিন ভিড়টা অনেক বেশি। পুজোর শুরু হলে, এখানে সাজ বদলায় দেবীর। কখনও ফুলের, কখনও এবার সোনার সাজে সালাঙ্কারা মাতৃমুর্তি।
১৯৪৯ সালে তন্ত্রসাধক হরিপদ চক্রবর্তী এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মন্দিরটি লেক কালীবাড়ি হিসেবে পরিচিত হলেও মন্দিরটির আরেক নাম শ্রীশ্রী ১০৮ করুণাময়ী কালীমায়ের মন্দির। প্রথম প্রথম মন্দিরটি শ্রীশ্রী ১০৮ করুণাময়ী কালীমায়ের মন্দির নামেই পরিচিত ছিল। দক্ষিণ কলিকাতার রবীন্দ্র সরোবর অর্থাৎ ঢাকুরিয়া লেকের ধারে মন্দিরটি অবস্থিত হওয়ায় লেকের পাশ্ববর্তী সার্দান অ্যাভিনিউের এই মন্দিরটি লোক মুখে লেক কালীবাড়ি হিসেবে পরিচিতি পায়। মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত কালীমূর্তিটির নাম করুণাময়ী কালী।
আরও পড়ুন: Assam Flood | বন্যার জলে ভাসছে কাজিরাঙা, আতঙ্কে স্থানীয়রা
২০২০ সালের ২৩শে জানয়ারি এই মন্দিরে দশ-মহাবিদ্যার সপ্তম বিদ্যা দেবী ধূমাবতির মূর্তির প্রতিষ্ঠতা হয়েছে। আগামীতে মা শীতলা ও মা মনসা দেবীর মূর্তিও প্রতিষ্ঠা করার কথাও রয়েছে।