কলকাতা: সনাতন হিন্দুধর্মে প্রত্যেকটি ধর্মীয় কাজ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হয়। তেমনই প্রতিটি বাঙালি ঘরেই প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা নিয়ম মেনে ভগবানের পুজো (Pujo) করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রে, দেব-দেবীর পুজার্চনার নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও পুজোয় ব্যবহৃত সামগ্রীর উল্লেখ পাওযা যায়। শুদ্ধ ও উপযুক্ত সামগ্রী সহকারে নিয়ম মেনে পুজো করলে সুফল পাওয়া যায়। তবে জানেন কি, এমন কিছু ধাতু রয়েছে যেগুলি ঠাকুরঘরে ব্যবহার করা উচিত নয়। পুজোর সময় এই ধাতুগুলি যে কোনও ভাবে ব্যবহার করলে সংসারের সদস্যেরা আর্থিক সংকটে পড়েন। জেনে নিন ঠাকুরঘরে কী কী ধাতুর ব্যবহার করতে নেই।
১) লোহার পাত্র- বাস্তুশাস্ত্রে ঠাকুরঘরে লোহার পাত্র রাখতে মানা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ঠাকুরঘরে এই পাত্র রাখলে পরিবারের সদস্যদের জীবনে আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। লোহায় মরিচা পড়ে, তাই এটিকে অশুদ্ধ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিদেবের পুজো করতে বসলে লোহার পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) অ্যালুমিনিয়াম- ঠাকুরঘরে কোনও ধর্মীয় কাজ করার সময়ে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা যাবে না। শাস্ত্রে এই ধাতুকেও অশুদ্ধ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি, অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি প্রতিমা ব্যবহার করাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে।
৩) রূপো- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রূপো ধাতু চন্দ্র দেবতার প্রতিনিধিত্ব করে৷ চন্দ্র দেবতাকে পুজো করলে জীবনে সুখ, শান্তি এবং শীতলতা আসে।কিন্তু ঠাকুরের কাজে রূপো ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন:দুপুরে ঘুমানো কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো? জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
কী কী ব্যবহার করবেন জেনে নিন-
১) তামা- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, দেবতার পুজোর জন্য ব্যবহারের জন্য তামাই শ্রেষ্ঠ ধাতু। তামার পাত্রের ব্যবহার সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। তবে শুধুমাত্র শনিকে তামার পাত্রে জল দেবেন না। কারণ, এতে শনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে।
২) পিতল- বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঠাকুরঘরে পিতলের পাত্র ব্যবহার করা যাবে।
৩) কাঁসা- উল্লিখিত দুই ধাতু ছাড়াও কাঁসার পাত্রও ঠাকুরঘরে ব্যবহার করায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে।