চণ্ডীগড়: কংগ্রেসের (Congress) বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে গত কয়েক মাসে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে গোটা দেশে একমাত্র তৃণমূলই লড়ছে বলে দাবি করেছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। এরই মধ্যে ডিসেম্বরে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এনডিএ (NDA) সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয় মেঘালয় কংগ্রেস। বিজেপির হাত ধরায় দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে কংগ্রেস। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বিজেপিকে (BJP) সুবিধে করে দিতে চণ্ডীগড় পুরসভার (Chandigarh Civic Polls) মেয়র পদের ভোটাভুটি এড়াল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সৌজন্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল না হয়েও হেসে খেলে চণ্ডীগড় পুরসভার মেয়র পদ দখল করল বিজেপি। বিজেপি এবং কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুরভোটে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছিল আপ। চণ্ডীগড়ে প্রথম বার লড়েই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ৩৫ আসনের মধ্যে আপ ১৪টি আসন দখল করে। বিজেপি ১২, কংগ্রেস ৮ এবং অকালি দল একটি আসন পায়। নির্বাচনের পরপরই এক কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন।
চণ্ডীগড় পুরসভার মেয়র নির্বাচনের সময় কাউন্সিলরদের পাশাপাশি ভোট দিতে পারেন স্থানীয় সাংসদও। শনিবার মেয়র নির্বাচনে কংগ্রেস ৭ জন এবং অকালি দলের এক কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে লড়াইটা বিজেপি ও আপের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। সাংসদের ভোট ধরে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮। ১৩ কাউন্সিলর ছাড়াও সাংসদ ভোট দেন বিজেপি প্রার্থীকে। আপের ঝুলিতেও ১৪টি ভোট যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার আপের এক কাউন্সিলরের ভোট বাতিল করেন।
এর ফলে ১৪-১৩ ব্যবধানে আপকে টেক্কা দিয়ে চণ্ডীগড় পুরসভার মেয়র পদ দখল করে বিজেপি। চণ্ডীগড়ের মেয়র হন সরবজিৎ কৌর। যদিও এই ফলাফল নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় আপ। তাদের দাবি, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে পরিকল্পিত ভাবে এক কাউন্সিলরের ভোট বাতিল করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার। বিজেপি যেভাবে জিতল সেটা লজ্জাজনক বলেও আখ্যা দেন আপের নেতারা। অনেকের মতে, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি কংগ্রেস ও অকালি দল।