কলকাতা: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Tample) আদলে দিঘায় নির্মিত বিশাল মন্দির। আগেই এটা করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল গত মে মাস থেকে। এই মন্দির নির্মাণের জন্য রাজস্থানের বংশী পাহাড় থেকে আনা হয়েছে বিখ্যাত স্যান্ডস্টোন। প্রযুক্তিবিদ, কারিগর সহ মোট ২০০ জন এই মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুরীর মন্দিরের আদলে ৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং বিখ্যাত সব স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য একই রকম ভাবে রাখার চেষ্টা চলছে নির্মীয়মাণ দীঘার এই জগন্নাথ মন্দিরে। এরই পাশাপাশি এই মন্দিরে প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে তোরণ, গর্ভগৃহ, ভোগ রান্নার জায়গা থাকছে। আলোকসজ্জার ক্ষেত্রেও রয়েছে কিন্তু বিশেষ আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ঝাড়গ্রামে সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দেবেন প্রশাসনিক বৈঠকে
দিঘায় পুরীর আদলে এই জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি করা হচ্ছে দিঘা রেলস্টেশনের কাছেই। ফলে সমুদ্র সৈকত এবং জগন্নাথ মন্দির এক সংগেই উপভগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। মোট ২০ একর জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে এই মন্দিরটি। গোটা মন্দির নির্মাণের জন্য খরচ পড়েছে বলে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। এই মন্দির নির্মাণের পর দিঘায় পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দিঘা থেকে কাঁথি পর্যন্ত ২৯.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ চালু হয়ে গিয়েছে। এখানের ‘নায়ে কালী’ মন্দিরটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে। চম্পা নদীর সেতুর কাছে ৩০০ বছরের পুরনো মন্দিরটি রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা পর্যটনকেন্দ্রকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন পুরীর আদলে নির্মিত হবে দীঘায় জগন্নাথ ধাম। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে রথযাত্রাও হবে। পাশাপাশি এখানে সাইক্লোন হলেও কোনও প্রভাব মন্দিরে পড়বে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।