Barbie নামটির সাথে অনেকেরই ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই যখন গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত এবং মার্গট রবি অভিনীত বার্বি (Barbie) সিনেমাটি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের মনে অনেক কৌতহল এবং উত্তেজনা দেখা যায়। সেই কারণেই কোথাও বার্বি সিনেমাটি ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে ২৭৬.৩৯ কোটি টাকা আয় করেছে। তবে এই বার্বি পুতুলের আবিষ্কার বা জন্ম কোথায় জানেন?
পুরো বিশ্বে চলছে বার্বি উন্মাদনা। ছোটবেলায় নানা ধরনের বার্বি পুতুল সংগ্রহে থাকাও ছিল এক ধরনের আভিজাত্য। বান্ধবীদের সঙ্গে কার কয়টা বার্বি পুতুল আছে সেই প্রতিযোগিতাও কম হয়নি। তবে জানেন কি? বার্বির জন্ম কোথায়, কখন, কীভাবে হলো। ছোট্ট এক মেয়ের আবদারেই তৈরি হয়েছিল বার্বি।
আরও পড়ুন: INDIA Alliance Manipur Tour | দু’দিনের জন্য মণিপুর সফরে যাচ্ছেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ২০ জন প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্রের রুথ হ্যান্ডলার হলেন বিখ্যাত পুতুল ক্যারেক্টার বার্বির জনক। রুথের মাথায় এই ভাবনাটা এসেছিল তার ছোট্ট মেয়ে বারবারার কাছ থেকেই। ১৯৫০-এর দশক বারবারা সেগাল তখন খুবই ছোট। তিনি কাগজ কেটে বানানো তরুণী বা মাঝবয়সী পুতুল বানিয়ে খেলতে ভালোবাসতেন। সেসব পুতুলের আবার নানান পেশা, কেউ ছাত্র, কেউ চাকুরে। বারবারার মা রুথও নিজের মেয়ের জন্য এমন পুতুল তৈরি করে দিতেন। যখন বারবারার বয়স ১৫, তখন বাবা-মার সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের লুসার্নে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই একটি খেলনার দোকানে একটি পুতুল দেখে সেদিকে দৌড়ে যান তিনি। দুটি পুতুল কিনে নিয়ে বেড়িয়ে আসেন।
পুতুল দুটি ছিল প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের আদলে তৈরি। যাদের সুন্দর পোশাক পরানো ছিল। যা বারবারার খুবই পছন্দ হয়। রুথ এই ভাবনা কাজে লাগিয়ে পুতুল তৈরি করতে শুরু করলেন। রুথের মেয়ের জন্য ওই কেনা পুতুলের নাম ছিল ‘বিল্ড লিলি’। ১৯৫২ সালে জার্মানের বাজারে এসেছিল পুতুলটি। দেশে ফিরেই বিল্ড লিলি আর নিজের কল্পনার মিশেলে একটা পুতুল তৈরি করলেন রুথ। ১৯৫৯ সালের ৯ মার্চ রুথের হাত ধরে সেটাকে বাজারে আনে বিশ্বখ্যাত মার্কিন খেলনা নির্মাতা কোম্পানি ম্যাটেল ইনকরপোরেটেড।
এরপর নিজের মেয়ে বারবারার নামেই পুতুলটির নাম দেন বার্বি। যে পুতুলটি এখন প্রতি মিনিটে ১০০পিসেরও বেশি বিক্রি হয় সারাবিশ্বে রুথের তৈরি সেই পুতুলটির কালো পনিটেইল চুল, নীল চোখ, টুকটুকে লাল ঠোঁট, ছিপছিপে গড়ন, পরনে জেব্রার মতো সাদা-কালো ডোরাকাটা সাঁতারের পোশাক। বার্বির যেমন তরুণী পুতুলের পুরো নাম ‘বারবারা মিলিসেন্ট রবার্টস’। তারপরেই বিশ্ব বাজারে জনপ্রিয় হয়ে যায় বার্বি।