সিংঘু: সিংঘু সীমানায় হাত-পা কাটা অবস্থায় উদ্ধার যুবকের মৃতদেহকে ঘিরে নতুন করে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে কৃষকদের মধ্যে৷ এই ঘটনার সঙ্গে কৃষকরা কেউ জড়িত নন বলে জানিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা৷ সংগঠনের তরফে হত্যার নিন্দা করা হয়েছে৷ তাদের দাবি, নিহাঙ্গ সম্প্রদায়ের লোকেরা ওই যুবককে নৃশংসভাবে মেরে ফেলেছে৷ নিহাঙ্গ এবং মৃত যুবকের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই৷
আরও পড়ুন: সিঙ্ঘু সীমান্তে নৃশংসতা, আন্দোলনকারী কৃষকদের মঞ্চের কাছে যুবকের হাত, পা কাটা দেহ উদ্ধার
শুক্রবার সকালে সিংঘু সীমানায় কৃষক আন্দোলনের মঞ্চ থেকে খানিক দূরে ব্যারিকেডের সঙ্গে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ সেই থেকে সিংঘু সীমানায় হই-চই পড়ে গিয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরে এই সিংঘু সীমানাতেই ঘাঁটি গেড়েছেন কৃষকরা৷ কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন৷ কৃষকদের মঞ্চ থেকে অদূরে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাই কৃষকদের মধ্যে শোরগোল ফেলে দেয়৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম লখবীর সিং৷ তাঁর একটি হাত কবজি থেকে এবং গোঁড়ালি থেকে একটি পায়ের পাতা কেটে দেওয়া হয়েছে৷ এমন বর্বরোচিত হত্যার তীব্র নিন্দা করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা৷ তারা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে৷ সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি৷ আইনকে হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই৷ আমরা পুলিশ ও প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করব৷’
পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা দায়ের করেছে৷ ডিএসপি হংসরাজ জানিয়েছেন, ভোর ৫টা নাগাদ লখবীরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ সে পঞ্জাবের তাম তারান জেলার বাসিন্দা৷ পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন৷ বাড়িতে স্ত্রী, তিন মেয়ে এবং এক বোন আছে৷ লখবীর খুনে কে বা কারা জড়িত তা জানা যায়নি৷ তবে খুনের আগের কয়েকটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ সেগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন মনমোহন
কৃষকদের দাবি, লখবীরকে খুন করেছে নিহাঙ্গরা৷ শিখ ‘যোদ্ধা’ সম্প্রদায় বলে পরিচিত নিহাঙ্গরা অতীতে এক পুলিশ অফিসারকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল৷ গত বছর পাতিয়ালায় লকডাউনের সময় তারা বাইরে বেরিয়ে ঘোরাফেরা করছিল৷ তখন এক পুলিশ অফিসার তাদের কাছে অনুমতিপত্র দেখতে চায়৷ তাতেই তলোয়ার দিয়ে হরজিৎ সিং নামে এক সাব-ইন্সপেক্টরের হাত কেটে দিয়েছিল নিহাঙ্গরা৷ জখম হন আরও তাতে তিন জন৷ যদিও চিকিৎসার পর প্রত্যেকেই বেঁচে যান৷