চণ্ডীগড়: পঞ্জাবের ফিরোজপুর ফ্লাইওভারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কনভয় (India Prime Minister) আটকে পড়ার সময় খুব কাছেই ছিলেন বিজেপি-র সমর্থকেরা (Narendra Modi)। নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে তাঁরা অনবরত স্লোগান দিচ্ছেলেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ, এসপিজি কেন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের সেসময় আটকাল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সেই ছবিও শেয়ার করা হয়েছে (Charanjit Singh Channi)।
বুধবার পঞ্জাবের হুসেইনওয়ালায় সভা করতে যাওয়ার পথে ফিরোজপুর ফ্লাইওভারে কৃষক বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় নরেন্দ্র মোদির কনভয়। বিক্ষোভের মুখে ২০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করে, ভাতিন্দা বিমানবন্দরে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ঘটনার বিশদ রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : PM Modi: মোদির নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পঞ্জাব সরকারের, ফিরোজপুরে কেন্দ্রীয় দল
বিজেপি কাঠগড়ায় তোলে চান্নির সরকারকে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা নরেন্দ্র মোদির ‘নিরাপত্তায় গাফিলতি’কে কংগ্রেসের ‘নোংর রাজনীতি’ বলে দাবি করেন। কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে হারবে জেনেই এই ধরনের নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে বলেও নড্ডা অভিযোগ করেন।
यह बात सबकी समझ से परे है कि पीएम मोदी के काफिले के बेहद करीब भाजपा के लोग मोदी जी के समर्थन में नारे लगा रहे हैं। SPG उनको रोकना तो दूर, मना भी नहीं कर रही है, आखिर क्यों?#पंजाब_माफ_नहीं_करेगा pic.twitter.com/JpQZg1GMfs
— Congress (@INCIndia) January 7, 2022
রাজনৈতিক এই চাপানউতোরের মধ্যেই শুক্রবার ফিরোজপুরের কিছু ভিডিয়ো ক্লিপ সামনে আনে কংগ্রেস। ওই ভিডিয়ো ক্লিপিংগুলোয় দেখা যাচ্ছে, ফিরোজপুর ফ্লাইওভারে মোদির কনভয়ের খুব কাছেই দলীয় কর্মীরা। হাতে বিজেপি-র দলীয় ঝান্ডা। মোদি-মোদি করে তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন।
এই ভিডিয়ো সামনে এনেই কংগ্রেস প্রশ্ন তোলে, কৃষক বিক্ষোভের কারণে নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা লঙ্ঘনের যদি প্রশ্ন ওঠে, তা হলে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিজেপি সমর্থকদের স্লোগান দেওয়ার জন্য একই অভিযোগ উঠবে না কেন? এসপিজি-র নিরাপত্তারক্ষীরা কেন বিজেপির ওই কর্মী-সমর্থকদের সরিয়ে দিল না?
গোটা ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা গাফিলতি নাকি বিজেপি-র ষড়যন্ত্র, সেই সন্দেহও প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিয়োয় কংগ্রেস লেখে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষা দেশের কর্তব্য। উলটো দিকে দেশের সুরক্ষা দেখা প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য। কিন্তু প্রশ্ন হল, বিজেপি সমর্থকদের প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের কাছে ঘেঁষার অনুমতি তা হলে কেন দেওয়া হল? আর যদি গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের এই অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে পঞ্জাবকে কেন অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে ‘অপদস্থ’ করা হচ্ছে?
শুক্রবারই দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ফিরোজপুরের ঘটনার রিপোর্ট পাঠিয়েছে পঞ্জাব সরকার। রিপোর্টে দাবি করা হয়, ওই দিন কৃষকদের বিক্ষোভ ছিল স্বতঃস্ফর্ত। প্রধানমন্ত্রী পঞ্জাবে আসার কয়েক দিন আগেই তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিল এসপিজি। তা হলে কেন পঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলে পঞ্জাব সরকার। মুখ্যমন্ত্রী চান্নি আগেই দাবি করেন, মোদির নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল না। যদিও পঞ্জাব সরকার এ নিয়ে একটি কমিটি গড়ে। তিন দিনের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।