থিম্পু: করোনার জেরে অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্পও। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পর্যটকের অভাবে ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে বহু নামকরা হোটেলের। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও নানা বিধিনিষেধের কারণে অনেক পর্যটক এখনও মুখ ফিরিয়েছেন।
করোনা নিয়ে হাজারো হতাশার মধ্যে আশার খবরও রয়েছে। ২০২০ সালের মার্চের পর আবারও ভুটানে পা রাখতে চলেছেন বিদেশী পর্যটক। আগামী সপ্তাহে ভুটানে আসছেন এক আমেরিকান পর্যটক। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি ড্রাগনভূমিতে পা রাখছেন।
ভুটানে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। সরকারের কড়াকড়ির জেরে প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক ভুটান ছাড়তে বাধ্য হন। সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছে ট্যুরিজম কাউন্সিল অফ ভুটান (টিসিবি)।
টিসিবি-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভুটানের সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ট্যুরিজম সংস্থার মাধ্যমে পর্যটকরা ভ্রমণের আবেদন জানাতে পারবেন। পর্যটকদের ভুটানে প্রবেশের পর ২১ দিনের কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। করোনা সংক্রান্ত সমস্ত স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে।
আমেরিকান পর্যটকের ট্যুরিস্ট এজেন্ট জানিয়েছেন, ৯ অগস্ট ভুটানে প্রবেশের পর আমেরিকান পর্যটককে ২১ দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। এর সমস্ত খরচ ওনাকেই বহন করতে হবে। ইন্টারন্যাশানাল পর্যটকদের জন্য প্যাকেজ শুরু হচ্ছে দৈনিক ২৫০ মার্কিন ডলার থেকে।
আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়েই ভুটানের মাটিতে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার জন্যও উৎসাহিত করা হবে তাঁদের। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং জানিয়েছেন, পর্যটকদের আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে তাঁদের।