কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo union room case) গোলমাল নিয়ে ওয়াটগঞ্জ এবং আলিপুর থানার রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court)। গত ২৪ জানুয়ারি চিড়িয়াখানার ভিতরে কী ঘটেছিল, সে ব্যাপারে সিসিটিভি ফুটেজ এবং বাইরের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে আলিপুর থানার পেশ করা রিপোর্টে। এছাড়াও ওয়াটগঞ্জ থানা দুটি রিপোর্ট দিয়েছে। একটি বাইরের পরিস্থিতির, অন্যটি ভিতরের।
চিড়িয়াখানার আইনজীবী বুধবার আদালতে জানান, চিড়িয়াখানার ভিতরে কোনও সমস্যা নেই। এখন সেখানে বহিরাগতও নেই। আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন, সাত কর্মচারীকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আদালত এদিন নির্দেশ দেয়, জমা পড়া রিপোর্টের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের হলফনামা পেশ করতে হবে। পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।
এদিন ‘আলিপুর চিড়িয়াখানা একতা ইউনিয়ন’ মামলার পক্ষ হতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে। ইউনিয়নের দাবি, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাদের সংগঠনের রেজিষ্ট্রি হয়েছে। আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal-CBI: রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে অনুব্রত
গত ২৪ জানুয়ারি কর্মী ইউনিয়নের দখলদারিকে কেন্দ্র করে চিড়িয়াখানা চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থক কর্মচারীদের মধ্যে পুলিসের সামনেই তুমূল সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন। এমনকি আহত হন জনাকয়েক পুলিস কর্মীও। বিজেপির অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের মদতে তৃণমূল ওইদিন প্রচুর বহিরাগতকে ঢুকিয়ে হামলা চালায়। ইউনিয়ন অফিসে ভাংচুরও চলে। বিজেপির হাতে থাকা ইউনিয়ন দখল করে আলিপুর চিড়িয়াখানা একতা ইউনিয়ন নামে নতুন সংগঠন। বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হয়। বুধবারই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশমতো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দুই থানার সমস্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করে।