কলকাতা: এক বছরেরও কম সময়ে ভারতে ১৫০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়ার নজির সৃষ্টি হয়েছে (Covid vaccination)। তবে, বয়স্ক নাগরিকদের সকলে কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটিই পাননি। শুক্রবার রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের সময় তা স্বীকার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী জানান, বয়স্ক নাগরিকদের ৯০ শতাংশ এ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন (Narendra Modi)। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এক বছরের কম সময়ে ১৫০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো বড় সাফল্য বলেই দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী এই রেকর্ডকে ‘ইচ্ছেশক্তির প্রতীক’ বলে দাবি করেন। মোদির কথায়, ‘ইচ্ছেশক্তি ছাড়া ১৫০ কোটির লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। কোভিড অতিমারির বিরুদ্ধে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল।’ ভয়ংকর ভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠিন এই লড়াইয়ের জন্য বিজ্ঞানী, প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে স্বাস্থ্যকর্মী– সকলের ভূমিকার আলাদা করে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিডের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে তিনি ‘আত্মনির্ভরতা’ ও ‘আত্মগৌরব’-এর প্রতীক বলেও দাবি করেন। নরেন্দ্র মোদী জানান, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যেও ইতিমধ্যে দেড় কোটি টিকা দেওয়া শেষ হয়েছে।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় ডোজ শেষ না করেই বুস্টার ডোজ চালুর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, রাজ্যের ৪০ শতাংশ মানুষ এখনও কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ পাননি। লোকজনকে দ্বিতীয় ডোজ যাতে তাড়াতাড়ি দেওয়া যায়, নরেন্দ্র মোদির কাছে সেই আর্জিও জানান। বুস্টার শট নিয়ে মমতা আগেও একই অভিযোগ করেছিলেন।
নরেন্দ্র মোদি যদিও বুস্টার ডোজ নিয়ে মমতার কোনও প্রশ্নের জবাব সরাসরি দেননি। জানিয়েছেন, বাংলাকে এ পর্যন্ত ১১ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সৌজন্য দেশজুড়ে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার পরেই কেন্দ্রীয় গাইডলাইনে বুস্টার শটের কথা বলা হয়। কো-মর্বিডিটি থাকা রোগী, ষাটোর্ধ্ব নাগরিক এবং সামনের সারির করোনাযোদ্ধাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার শট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওমিক্রন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে।