আল হিলাল: ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। পিএসজি থেকে ৯০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে তাঁকে ঘরে তুলেছে সৌদির ক্লাব আল হিলাল। দুই বছরের চুক্তিতে নেইমার প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করবেন। ভারতীয় মুদ্রায় বছরে ৯০০ কোটি টাকারও বেশি। এতেই যদি আপনার চোখ কপালে ওঠে তাহলে নামিয়ে নিন। কারণ বিস্ময়ের অনেক বাকি আছে।
ক্লাবের সঙ্গে বিশাল অঙ্কের আর্থিক চুক্তি ছাড়াও নেইমারের আরও অনেক আবদার রয়েছে। কার্যত এশিয়ার দেশটিতে দুই বছর তাঁর কোনও খরচ নেই, চুক্তি এমনই করেছেন তিনি। ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড অর্থ ছাড়াও আর কী কী দাবি করেছেন তার একটা ফিরিস্ত দিচ্ছি–
১) ২৫টি বেডরুম সহ একটি সুবিশাল অট্টালিকা যেখানে তাঁর আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব এসে থাকতে পারে।
২) অট্টালিকার লাগোয়া একটি ৪০০ বর্গমিটার সুইমিং পুল এবং তিনটি সনা। ছোট ঘর যেখানে স্টিম বাথের মাধ্যমে শরীরের নোংরা পরিষ্কার হয় তাকেই সনা বলে।
৩) বাড়ি দেখাশোনা করার জন্য পাঁচজন গৃহ পরিচারক থাকতে হবে ২৪ ঘণ্টা। এছাড়াও দুজন সাফাই কর্মী, ধোপা এবং নেইমারের ব্যক্তিগত রাঁধুনি থাকবে। রাঁধুনির কাজ নেইমারের প্রিয় আকাই জুসে ফ্রিজ ভর্তি রাখা। গুয়ারানা জুস থাকবে অতিথিদের জন্য।
আরও পড়ুন: আনোয়ারের জোড়া গোল, নেপালের দলকে হারিয়ে এবার আবাহনী ঢাকার সামনে মোহনবাগান
৪) বাড়ির বাইরে পা রাখলেও বিলাসব্যসনে কমতি হবে না। নেইমারের কাছে বহুমূল্য গাড়ির অভাব নেই, কিন্তু তা তিনি সৌদি আরবে আনতে পারেননি। সেই কারণেই নতুন ঠিকানায় একটি বড় গ্যারাজ দাবি করেছেন তিনি। সেই গ্যারাজে থাকতে হবে একটি করে মার্সিডিজ জি ওয়াগন, মার্সিডিজ ভ্যান, ল্যাম্বরগিনি হারিকেন, বেন্টলি কন্টিনেন্টাল জিপি এবং অ্যাশটন মার্টিন ডিবিএক্স।
৫) দাঁড়ান, শেষ হয়নি। দূরে কোথাও যেতে হলেও সেই খরচ আল হিলাল বহন করবে। ছুটির দিনে কোথাও ঘুরতে গেলে সেই ভ্রমণের খরচ, পরিবার সহ নেইমারের জন্য প্রাইভেট জেটের ব্যবস্থা করতে হবে ক্লাবকেই।
৬) যদি সৌদি আরবেই ছুটি কাটান, আর তার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তাহলে প্রতি পোস্ট পিছু ৫ লক্ষ ইউরো পাবেন নেইমার।
বলেছিলাম না, সৌদি আরবে এসে এক পয়সা খরচ করবেন না নেইমার জুনিয়র।