বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীর দু’জনেরই ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ কেটে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অনিল কুম্বলে, হরভজন সিং সহ একাধিক ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার এই ইস্যুতে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। তবে আসলে সেই দিন লখনউয়ের মাঠে বিরাট-গৌতমের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল, তা অবশেষে প্রকাশ্যে এল।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্রিকেটার কাইল মেয়ার্স এসেছিলেন বিরাটের সঙ্গে কথা বলতে। সেই সময় দলের মেন্টর গৌতম গম্ভীর মেয়ার্স হাত ধরে টেনে কোহলির সঙ্গে কথা বলতে বারণ করেন। এরপরই লখনউয়ের মেন্টরের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আরসিবির প্রাক্তন অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: English Premier League | চেলসিকে দুরমুশ করে লিগ জয়ের স্বপ্ন জিইয়ে রাখল আর্সেনাল
কী কথা হয়েছিল বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরের মধ্য?
গম্ভীর- কী বলছিলিস বল দেখি?
কোহলি- আমি তো আপনাকে কিছুই বলিনি, আপনি এর মধ্যে খামকা ঢুকছেন কেন?
গম্ভীর- তুই আমার দলের কোনও খেলোয়াড়কে বাজে কথা বলেছিস মানে তো তুই আমার পরিবারকেই গালিগালাজ করেছিস।
কোহলি- তাহলে আপনি আপনার পরিবারকে সামলে রাখুন।
এরপর আরসিবি ক্যাপ্টেন ফাফ ডুপ্লেসি এসে বিরাটকে সরিয়ে নিয়ে যান। আর লখনউয়ের সদস্যরা তাঁদের মেন্টরকে। এই ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমানে লখনউয়ের কোচ, আরেকজন ২০০৮ সাল থেকে ভারতীয় দলে খেলছেন। দু’জনেরই অভিজ্ঞতার জুড়ি মেলা ভার। তবুও কেন এইভাবে মেজাজ হারালেন তাঁরা?
এর উত্তরে অনেকে বলছেন, ভারতীয় দল থেকে গৌতম যখন বাদ পড়েন, তখন তিনি ভেবেছিলেন বিরাট অন্তত তাঁর পক্ষে থাকবে। তবে তা না হওয়ায় রুষ্ট হন তিনি। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে যে তরুণ তুর্কির হাতে নিজের হাসিল করা ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ তুলে দিয়েছিলেন গম্ভীর, ২০১৩ সালে কেকেআরের অধিনায়ক থাকাকালীন তাঁর সঙ্গেই বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই নক্ষত্র ক্রিকেটার। ক্রিকেটপ্রেমীদের আশা ২২ গজের তিক্ততা ভুলে দু’জনেই যেন আবারও কাছে আসেন, কারণ ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দিল্লির এই দুই ক্রিকেটারের পার্টনারশিপ ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছে বলে ধারণা অনেকেরই।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের উদ্বোধনী আইপিএলে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন হরভজন। শান্তাকুমারন শ্রীসন্থকে চড় কষিয়ে দিয়েছিলেন তিনি এবং শ্রীসন্থের কান্নাকাটি করার দৃশ্য এখনও ভোলার নয়। সেই ঘটনায় এখনও লজ্জিত বোধ করেন ভারতীয় অফস্পিনার। সোমবার কোহলি-গম্ভীর ইস্যুতে সেই কথাই বললেন তিনি। টার্বুনেটর বলেন, ২০০৮ সালে শ্রীসন্থের সঙ্গে যা করেছিলাম তার জন্য লজ্জিত। বিরাট কোহলি একজন কিংবদন্তি। এসব ব্যাপারে তাঁর জড়ানো উচিত নয়। বিরাট এবং গম্ভীরের মধ্যে যা ঘটেছে তা ক্রিকেটের জন্য ঠিক নয়।