কলকাতা: রবিবাসরীয় যুবভারতীর রঙ সবুজ-মেরুন। মুম্বই সিটি এফসি-কে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে সাত বার মুখোমুখি হয়েছে মোহনবাগান এবং মুম্বই সিটি এফসি। প্রতিবারই ব্যর্থতা নিয়েই ফিরতে হয়েছে মোহনবাগানকে। সেরা সাফল্য বলতে, ড্র। তবে এদিনটি ছিল গঙ্গাপারের ক্লাবের। তাই তো ম্যাচ শেষে ফলাফল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট(৩)- মুম্বই সিটি এফসি(১)।
মোহনবাগানের হয়ে গোল করলেন জেসন কামিংস, মনবীর সিংহ এবং আনোয়ার আলি। মুম্বইয়ের গোলদাতা হর্হে দিয়াস। সেমিফাইনালে ৩১ অগস্ট এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। জিতলেও রক্ষণ নিয়ে একটু চিন্তা থেকেই যাচ্ছে মোহনবাগানের। মোহনবাগান ডিফেন্সে দুর্বলতা একেবারে প্রকট। এদিন বার বার মুম্বইয়ের ফুটবলারেরা রক্ষণ ভেঙে বক্সে ঢুকে পড়ছিলেন। আনোয়ার আলি গোল করলেও গোল আটকানোর ক্ষেত্রে এখনও তাঁকে পরিণত হতে হবে। তাঁর ভুলে গোল হতে পারত। অন্যান্য পজিশনে মোহনবাগানকে নিয়ে চিন্তায় কিছু নেই। মিডফিল্ড এবং আক্রমণ ভাগে যথেষ্ট অস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে। সেমিফাইনালে এফসি গোয়া-র বিরুদ্ধে সেই অস্ত্র আরও ধারালো হবে সেটা বলাই যায়।
বরাবরই মোহনবাগানের শক্ত প্রতপক্ষ মুম্বই। কিন্তু রবিবার যুবভারতীতে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করে ফেরান্দো এন্ড কোম্পানি। সাত মিনিটের মাথাতেই পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। বক্সে বল নিয়ে ঢুকে গোলকিপারকে এড়িয়ে জালে জড়াতে চেয়েছিলেন কামিংস। মুম্বইয়ের গোলকিপার ফুর্বা লাচেনপা তাঁকে অবৈধ ভাবে বাধা দেন। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিতে সময় দেননি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইকার। এই নিয়ে মোহনবাগানের হয়ে তিনটি গোল হয়ে গেল তাঁর।
এর ঠিক ২১ মিনিট পর সমতা ফেরায় মুম্বই। মোহনবাগান রক্ষণের ভুলে গোল খায়। বক্সের বাঁ দিকে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে নেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট এবং অ্যালবার্ট নগুয়েরা। তার পর নগুয়েরা বক্সের মাঝামাঝি ক্রস ভাসান। মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে লেগে বল যায় দিয়াসের কাছে। তিনি বুক দিয়ে ঠেলে বল জালে জড়িয়ে দেন।
মোহনবাগান এগিয়ে যেতে সময় নেয়নি। কর্নার পেয়েছিল তারা। মুম্বইয়ের রক্ষণ ক্লিয়ার করলেও বল যায় বাঁ দিকে থাকা হুগো বুমোসের কাছে। তিনি বক্সে বল ভাসান। অরক্ষিত অবস্থায় থাকা মনবীর হেডে গোল করেন। প্রথমার্ধের শেষের দিকে আরও কিছু সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
মোহনবাগান আবার ব্যবধান বাড়ায় ম্যাচের ৬৩ মিনিটে। হেডে গোল করেন আনোয়ার। তবে কৃতিত্ব অনেকটাই আশিকের। বাকি সময়ে মুম্বই গোলের জন্যে মরিয়া হয়ে খেললেও খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। উল্টে মোহনবাগানের কাছে সুযোগ এসেছিল ব্যবধান বাড়ানোর। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে মোহনবাগানের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।