লিভারপুল: ১৯৩১ সালে উলভারহ্যাম্পটনের কাছে ৭-০ ফলে হেরেছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United)। তার পর এত বড় ব্যবধানে কখনও হারেনি তারা। শেষ ১২ বছরে ম্যান সিটির (Man City) কাছে ৬-১ ফল ছিল তাদের সবথেকে খারাপ পারফর্ম্যান্স। রবিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের (Liverpool) কাছে ৭-০ গোলে হারল এরিক টেন হাগের (Eric Ten Hag) ম্যান ইউ। এই ফল শুধু অপ্রত্যাশিত নয়, অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য। ম্যান ইউয়ের খেলোয়াড় থেকে সমর্থক, কারও মুখ লুকনোর জায়গা নেই। রবিবার দ্বিতীয়ার্ধে রেড ডেভিলদের (Red Devils) স্রেফ ধ্বংস করেছে জুর্গেন ক্লপের (Jurgen Klopp) দল।
এর আগে ম্যান ইউয়ের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে (Old Trafford) লিভারপুলকে হারিয়েছিলে মার্কাস র্যাশফোর্ড, ব্রুনো ফার্নান্ডেজরা। সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট ফর্মে ছিল দলটা। অন্যদিকে লিগ টেবিলে ছয় নম্বরে থাকা লিভারপুল খুব একটা ছন্দে নেই। তাদের ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) ৫-২ গোলে হারিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ওড়িশাকে উড়িয়ে দিয়ে আই এস এল সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগান
ম্যান ইউ এবং লিভারপুল ইংল্যান্ডের সফলতম দুই ক্লাব। দুই দলের শত্রুতা অন্যমাত্রার। এই ম্যাচের আগে টেন হ্যাগ বলেছিলেন, এটাও আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই। সেই একই আকারের, একই ঘাসের মাঠ এবং একই বল দিয়ে খেলা হবে। অ্যানফিল্ডে (Anfield) যে শিক্ষা তিনি পেলেন তা আজীবন মনে থাকবে। সাত গোল প্রত্যেকদিন হয় না, এমনকী প্রত্যেক মরশুমেও হয় না। ম্যাচ শেষ ম্যান ইউ কোচ বলে দিলেন, চরম অপেশাদার ফুটবলের পরিণাম এই লজ্জাজনক হার।
আসলে এদিন ম্যান ইউয়ের প্রত্যেকেই খারাপ খেলেছেন। উল্টোদিকে লিভারপুলের প্রত্যেকে জান লড়িয়ে দিয়েছেন। দুটো করে গোল করেছেন কোডি গাকপো, ডারউইন নুনেজ এবং মহম্মদ সালাহ। একটি গোল রবার্তো ফিরমিনোর। গোল এই চারজন দিলেও প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে লেফট ব্যাক অ্যান্ড্রু রবার্টসন এবং মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসনের কথা বলতেই হবে।
এই হারের পরেও ইপিএলে তৃতীয় স্থানে রয়ে গেল ম্যান ইউ। ২৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪৯। ২৫ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে লিভারপুল। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য প্রথম চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা।