সবে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন’আবার খেলতে নামতে পারি’। কিন্তু বিধি বাম। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার ফুটবল সম্রাট পেলেকে নিয়ে রাখতে হল আইসিইউতে।
আরও পড়ুন: Pele: মলাশয়ে সফল অস্ত্রোপচার, এখন স্থিতিশীল
কদিন আগেই আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে নেওয়া হয়েছিল কিংবদন্তী ফুটবলার পেলেকে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আবারও খারাপের হতে থাকায় আবার তাঁকে আইসিইউতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা নুতন করে চিন্তার কারণ হয়ে উঠল। হাসপাতালের পক্ষ থেকে এখনও সরকারী ভাবে অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ব্রাজিলের জনপ্রিয় এক স্পোর্টস পোর্টালে এই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে ৮০ বছর বয়সী পেলেকে পুনরায় সিসিইউতে স্থান করা হয়েছে।
⚽
Pelé recovering having re-entered intensive care unit in São Paulo 🏨
Doctors and daughter insist he is in stable condition ✌ #Football | #Legend | #Pele https://t.co/7YE6nHfuKR
— The Sports Wire (@_TheSportsWire) September 18, 2021
শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে নিয়মিত পরীক্ষা করাতে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই কোলনে টিউমার ধরা পড়ে এবং এরপর অস্ত্রোপচারও করা হয়। টিউমারটির বায়োপসি করতে দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবারেই তাঁকে আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডের কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই রাতে পেলে নিজেই ইন্সটাগ্রামে নিজের একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি দিয়ে পোস্টে লিখেছিলেন, এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। মজা করে বলেছিলেন, কেবল ৯০ মিনিটই নয়, প্রয়োজনে তিনি অতিরিক্ত সময় খেলতেও প্রস্তুত।
কোভিড-১৯ মহামারীর আগে থেকেই বাইরের নানান অনুষ্ঠানে যাওয়া একরকম বন্ধই হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
গত বছর তাঁর ছেলে বলেছিলেন, তাঁর বাবা বিষন্নতায় ভুগছেন। যদিও পেলে তা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত পেলে।
ব্রাজিল জাতীয় দল, সান্তোস ও নিউইয়র্ক কসমসে খেলাকালীন খুব কম চোট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন পেলেকে এই বয়সে এসে বেশ ভুগতে হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে নিতম্বের সমস্যায় ভুগছেন এবং সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না তিনি। অধিকাংশ সময় হুইচেয়ারে বসে ঘুরতে হয়।
ব্রাজিলের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ জেতা পেলে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোলে এখনও দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা। কয়েকদিন আগে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি লাতিন আমেরিকার ফুটবলার হয়ে এই গন্ডি পেরিয়ে গেছেন। ৪টি বিশ্বকাপে গোল করা মাত্র চারজন ফুটবলারের মধ্যে তিনি অন্যতম।
ছবি: সৌ টুইটার