কলকাতা: ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) আগেই উঠে গিয়েছিল। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল আই লিগের দল গোকুলাম কেরালা। কিন্তু কোয়ার্টারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan FC) সামনে ছিল এ মুহূর্তে দেশের সেরা মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC)। মুম্বই এ বছর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (AFC Champions League) খেলছে। তাদের বিরুদ্ধে খেলবে নেইমারের (Neymar) ক্লাব আল হিলাল (Al Hilal)। সেখানে মোহনবাগান এএফসির কাপের (AFC Cup) গ্রুপ পর্বে উঠেছে। তাই বাগান সমর্থকদের মনে যথেষ্ট আশঙ্কা ছিল।
যাবতীয় আশঙ্কা চুরমার করে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে হুয়ান ফেরান্দোর দল (Juan Ferando)। একমাত্র বল পজেশন ছাড়া আর সবক্ষেত্রে মুম্বইকে টেক্কা দিয়েছেন তিনি। খেলার ফল ৩-১, সেটা ৪-২ বা ৫-২ হতে পারত। মুম্বইয়ের একটা পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল, যা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কাল থেকেই চেঁচামেচি করছেন। তবে তাঁরা ভালোই জানেন, মোহনবাগান যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। ১২ অগাস্টের ডার্বিতে যে মোহনবাগান খেলেছিল, এই মোহনবাগান সেই দল নয়।
আরও পড়ুন: ১০ জনে খেলেও রুদ্ধশ্বাস জয় লিভারপুলের, শেষ মুহূর্তের গোলে জিতল ম্যান সিটিও
তাহলে কি ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি? দুই প্রধান সেমিফাইনাল জিতলে ১৯ বছর পর তেমনটাই হতে চলেছে। শেষবার ২০০৪ সালে ডুরান্ড জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে খেতাব জেতে তারা। মোহনবাগান শেষবার জিতেছিল ১৯৯৯-২০০০ এ। দুই প্রধানই এখনো পর্যন্ত ১৬ বার করে এই ট্রফি জিতেছে। এবার যে জিতবে সে এক পা এগিয়ে যাবে।
তবে তার আগে দুই দলকেই সেমিফাইনাল জিততে হবে এবং ফাইনালের পথ গোলাপের পাঁপড়ি বিছানো নয়। ২৯ অগাস্ট (মঙ্গলবার) ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি নর্থইস্ট ইউনাইটেড (North East United)। মোহনবাগানকে সামলাতে হবে এফসি গোয়ার (FC Goa) চ্যালেঞ্জ। দুই প্রধানের প্রতিপক্ষই আইএসএলের দল। সেই বাধা পেরিয়ে ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হোক, চাইছেন দুই দলের সমর্থকরাই। বেশি করে চাইছেন সবুজ-মেরুনের সমর্থকরা, কারণ তাঁদের আশা, গ্রুপ লিগে ১-০ হারের বদলা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হোক প্রিয় দল।