ইন্দোর: ম্যাচের প্রথম দিনই হোলকার স্টেডিয়ামে একটি পোস্টার দেখা গিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল, বিসিসিআই, চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি বন্ধ করো। এই পোস্টার যখন চোখে পড়ে ততক্ষণে ১০৯ রানে অল আউট ভারত। অস্ট্রেলিয়ারও দু-তিনটে উইকেট চলে গিয়েছে। ফলে ম্যাচ তিন দিনে খতম হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। বাস্তবে তারও আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা ছাপিয়েও এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে পিচ। সেইসঙ্গে বিসিসিআই-এর অদ্ভুত নীতি।
ভারত বরাবরই স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি করে। স্বাভাবিক, আমাদের শক্তি স্পিন, আমরা স্পিন করি ভালো, স্পিন খেলিও ভালো। কিন্তু আগে অন্তত টেস্টের প্রথম দুই দিন ব্যাটিং করার মতো উইকেট হত। তৃতীয় দিনে বল ঘুরতে শুরু করত এবং ক্রমে স্পিনই হয়ে উঠত ম্যাচ জেতানোর অস্ত্র। কিন্তু এখন প্রথম দিন থেকেই বল একহাত ঘোরে।
আরও পড়ুন: India Shell-shocked: অস্ট্রেলিয়ার নক-আউট পাঞ্চে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত টিম ইন্ডিয়া
গতকালই সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলছিলেন, ব্যাটারদের দুর্ভাগ্য, পঞ্চম দিনের পিচ এখন প্রথম দিনেই দেখা যায়। ইন্দোরে বল অসমান বাউন্স করেছে বলে সমস্যা বেড়েছে, তবে সব মাঠেই এখন ধুলো ওড়া পিচ। ম্যাচ জেতার চক্করে বিসিসিআই অনেকদিন ধরেই এরকম ডিজাইনার পিচ বানাচ্ছে। সৌরভের আমলেও আমরা স্পোর্টিং উইকেট দেখেছি, যেখানে দক্ষতা থাকলে, চেষ্টা করলে রান করা যায়। কিন্তু ইন্দোরের মতো পিচে ভাগ্য হাতে ব্যাট করতে হয়।
বিসিসিআইয়ের এই নীতিতে হয়তো ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টায় জিতবে ভারত। কিন্তু প্রকৃত ক্রিকেটীয় দক্ষতার ‘টেস্ট’ কি হবে? হবে না। ব্যাট ও বলের সমানে সমানে লড়াই কি হবে? হবে না। টেস্ট ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কি হবে? হবে না। ম্যাচ এরকম একপেশে হবে। সে যেই জিতুক।