সুইডেন–১ স্লোভাকিয়া–০
(এমিল ফর্সবার্গ–পেনাল্টি)
স্পেনের সঙ্গে তুল্যমূল্য লড়াই করে একটা পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছিল সুইডেন। কিন্তু স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে জিততে তাদের বেশ কসরত করতে হল। এই স্লোভাকিয়া তাদের প্রথম ম্যাচে রবার্ট লেয়নডস্কির পোল্যান্ডকে হারিয়ে শুধু বিরাট অঘটনই ঘটায়নি, ফুটবল দুনিয়াকে চমকেই দিয়েছিল। শুক্রবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের গাজপ্রম এরিনায় তারা হারল নিজেদের স্ট্র্যাটেজির ভুলে। তাদের মতলব ছিল আলট্রা ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে সুইডেনকে যদি গোল করতে না দেওয়া যায়, তবে একটা পয়েন্ট পেলে নক আউটের আশা জিইয়ে রাখা যাবে। একটা টিম যখন গোল করার চেয়ে গোল না খাওয়াকেই নিজেদের লক্ষ্য করে তোলে তখন ম্যাচটা যে কী বিরক্তিকর হয়ে ওঠে তার নিদর্শন হয়ে রইল এই ম্যাচটা। দুর্ভাগ্য স্লোভাকিয়ার। ৭৭ মিনিট পর্যন্ত তারা নিজেদের গোলে বল ঢুকতে দেয়নি। কিন্তু একটা আচমকা পেনাল্টিই তাদের সব হিসেব গণ্ডগোল করে দিল।
তবে যে মুভমেন্ট থেকে সুইডেন জয়ের গোলটা পেল সেটা খুব বিষাক্ত ছিল না। একটা ফরোয়ার্ড পাস ধরবার জন্য কোয়াইসন বক্সের মধ্যে বলটা তাড়া করছিলেন আর স্লোভাকিয়ার গোলকিপার দুব্রাভকা গোল লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসে ডাইভ দিলেন সুইড ফরোয়ার্ডের পায়ে। তাঁর মুহূর্তের ভুলে হাতটা লেগে গেল কোয়াইসনের গায়ে। ছিটকে পড়ে যান সুইড ফরোয়ার্ড। বল বেরিয়ে যায়। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমিল ফর্সবার্গ। জার্মানির আর বি লাইপজিগের এই আ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পেনাল্টি মারায় ওস্তাদ। ক্লাব এবং দেশ মিলিয়ে মেরেছেন ২১টা পেনাল্টি। এর থেকে আঠেরোটাতেই গোল হয়েছে।
এই গোলটা ছাড়া নব্বই মিনিটের ম্যাচে কোনও দলই নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। কর্নার বা ফ্রি কিক থেকে দু একটা উঁচু শট গোলকিপারদের দিকে গেছে বটে। সেগুলো সেভ করেছেন সুইডেনের গোলকিপার রবিন ওলসেন এবং স্লোভাকিয়ার দুব্রাভকা। তবে মাঝ মাঠ নির্ভর খেলাটাকে প্রাণ সঞ্চার করার চেষ্টা করেননি কোনও দলই। স্লোভাকিয়া না হয় এক পয়েন্টের লক্ষ্যে নেমেছিল। কিন্তু সুইডেনের তো জেতা ছাড়া উপায় ছিল না। তারা যে চেষ্টা করেনি তা নয়। কিন্তু তাদের দলে কোনও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ছিলেন না যিনি হাফ চান্স থেকে গোল করতে পারবেন কিংবা সেট পিস থেকে। আসলে ভেদশক্তির অভাবে সুইডেন গোলের মুখটা খুলতেই পারেনি। আর স্লোভাকিয়া? আজকের ম্যাচ দেখবার পর প্রশ্ন উঠতে বাধ্য তারা পোল্যান্ডকে হারাল কী করে?