কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বুচার নৃশংস গণহত্যার পর রাশিয়ার উপর আরও চাপ বাড়াচ্ছে পশ্চিমি দেশগুলি। আমেরিকা এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (President Vladimir Putin) স্ত্রী এবং তাঁদের দুই কন্যা মারিয়া পুতিনা এবং ক্যাটরিনা তিকোনোভার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, তাঁর স্ত্রী, কন্যা, বর্তমান এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যদের উপরও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
বুধবার ব্রাসেলসে বৈঠক বসে নেটোর সদস্য দেশগুলি। সেখানেই ঠিক হয়, রাশিয়ার (Russia-Ukraine war) উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
পশ্চিমি দেশগুলি চায়, রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে তাদের কোণঠাসা করতে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এর ফলে রাশিয়ার জিডিপি সাংঘাতিকভাবে ধাক্কা খাবে।
নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গ বলেন, পুতিনের মনোভাবের কোনও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। কাজেই আমাদের সব রকমের প্রস্তুতি নিতে হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
এক মার্কিন কর্তা জানান, জি ৭ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তারাও রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আরও পড়ুন: Jhalda Murder CBI: তপন কান্দু খুনের ঘটনায় আরও একটি এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমি দুনিয়ার কাছে সামরিক অস্ত্র চেয়ে আসছেন। তারা এতদিন তাতে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু বুচার ঘটনার পর আমেরিকা, জি ৭, ইইউ,নেটো সকলেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা সামরিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে ২৫৬৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের দাবি, মৃত্যু হয়েছে এর থেকে অনেক বেশি মানুষের। তার কোনও হিসেব নেই।
আরও পড়ুন: Azaan Row: আরব দুনিয়ায় লাউডস্পিকারে আজান হয় না, ভারতে কেন? প্রশ্ন গায়িকা অনুরাধা পড়োয়ালের
গোটা বিশ্ব জুড়ে বুচার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও রাশিয়া এখনও দাবি করে চলেছে, বুচার ঘটনা সাজানো, বিকৃত। তারা এই বিকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েই যাবে। ইউক্রেনের নাগরিকরা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। মায়েরা তাঁদের শিশুসন্তানের শরীরে নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের নম্বর লিখে রাখছেন, যাতে তাঁরা মারা গেলে শিশুরা অন্তত পরিচিতিহীন না হয়ে থাকে। সেই শিশুদের ছবিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।