জলপাইগুড়ি: মাঝে একদিনের সামান্য বিরতি। ফের শুরু মুষলধারে বৃষ্টি। রবিবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টিপাতে ফুলেফেঁপে উঠেছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী। পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের ফলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন নদীতে জারি হয়েছে হলুদ এবং লাল সতর্কতা। মালবাজারের মাল পার্কের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত শঙ্খিনী ঝোরা প্লাবিত করল সমগ্র মাল পার্ক। নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে পার্কের বিস্তীর্ণ এলাকা সহ নার্সারির অংশ। বহু মূল্যবান গাছ এবং গাছের চারার এখন জলের তলায়।
সোমবার দুপুর থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে হঠাৎ করে নদীর জল বেড়ে যায়। নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত পার্কের ভিতর থেকে বের করে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। ইতিমধ্যেই পার্কের ভিতরে থাকে খরগোশ এবং পাখিদের সুরক্ষিত রাখার জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মাল পার্ক কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: Primary TET Scam: মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদ
পাশাপাশি সোমবার রাতের বৃষ্টিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে মেটেলি ব্লকের মাথাচুলকা সংলগ্ন কুর্তি নদীতে। নদী উপচে জল ঢুকে পড়েছে একটি রিসোর্টে। রিসোর্টের বাগান দিয়ে প্রবল স্রোতে বইছে জল। পাশাপাশি নদী সংলগ্ন যে সমস্ত কৃষিজমি রয়েছে, সেগুলো জলের তলায় চলে গিয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে বৃষ্টি না-হওয়ায় জল নামতে শুরু করেছে নদী থেকে। ফের যদি আরেকবার ডুয়ার্স এবং পাহাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়, তবে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
একইভাবে সোমবার বিকেল থেকে বৃষ্টির জেরে মেটেলি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ব্লকের বিভিন্ন নদীতেও ভাঙন হচ্ছে। ব্লকের আইভিল চা বাগানের যাতায়াতের কয়েকটি কালভার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চালসার স্কুলপাড়া, ডিইসি পাড়ার বহু বাড়ি জলমগ্ন। কুর্তি নদীর জল ঢুকে মিঠাইধুরা এলাকার বহু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শালবাড়ি এলাকায় নেওড়া নদীর প্রবল ভাঙন তৈরি হয়েছে। মাথাচুলকা ও দক্ষিণ ধূপঝোরা এলাকার বেশ কয়েকটি বেসরকারি রিসোর্টও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।