কলকাতা: এবার আদালতের নজরে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, গত কয়েকদিনে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বেশ কিছু অনিয়ম সামনে এসেছে। এরপর অনিয়ম ধরা পড়লে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তুলে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১০ সালের মাদ্রাসা কমিশনের রুলে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেই বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে যে নিয়োগ হয়েছে, তাতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে মামলাকারীদের অভিযোগ। আকমল হোসেন-সহ ৭ জন আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে ২ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত।
এদিন আদালত নির্দেশ দেয়, ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের সুযোগ দিতে হবে। মাদ্রাসা কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করে আদালত। ওই সাত আবেদনকারীকে ১০ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে মাদ্রাসা কমিশনকে।
এতদিন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলি শুনছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসির গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি এবং নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেগুলির তদন্ত চলছে। তবে এদিনই প্রথম পর্বে এজলাসে বসে সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রবীণ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথোপকথনে সিবিআই তদন্ত সম্পর্কে তাঁর ক্ষোভ গোপন রাখেননি।
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly: ‘ভাল মানুষ’ পার্থ সম্পর্কে পূর্ব-কথন প্রত্যাহারে রাজি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতিদের দায়িত্ব বদল করেন। নতুন সূচি অনুযায়ী এখন থেকে মাদ্রাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলি শুনছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এর আগে এসএসসির দুর্নীতি মামলায় যেসব ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন, সেগুলি তাঁকেই শুনতে হবে।