কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আর্জেন্টিনায় অর্থনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। সেই পরিস্থিতির মধ্যেই ইস্তফা দিলেন আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী মার্টিন গুজম্যান। টুইট করে দেশের সকলকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মার্টিন। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর এই পদক্ষেপ, সে ব্যপারে কিছুই জানাননি আর্জেন্টিনার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মুদ্রাস্ফীতির চাপের মধ্যে গুজম্যানের ইস্তফা প্রশাসনের উপরে বড় আঘাত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে উল্লেখ করে নিজের টুইটে গুজম্যান জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন গুজম্যান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ঋণ পুনর্বিবেচনার নেতৃত্বও দিচ্ছিলেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই কেন এই ইস্তফা, তা এখনও জানা যায়নি। গুজম্যান নিজেও কিছু লেখেননি।
তবে প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে সম্বোধন করে অভ্যন্তরীণ বিভাজন দূর করার আহ্বানও জানিয়েছেন গুজম্যান। তাঁর মতে, পরবর্তী মন্ত্রী যাতে তাঁর মতো অসুবিধায় না পড়েন, তাই বিভাজন না থাকাটাই শ্রেয়। ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে একটি চুক্তিতে কাজ করা অপরিহার্য বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: LeT terrorists: লস্কর জঙ্গিদের ধরল গ্রামবাসীরা, পেল পুলিসের ২ লক্ষ টাকা ‘ইনাম’
আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা কির্চনার বরাবরই সরকারের সমালোচনা করে আসছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে আক্রমণ করে বক্তৃতাও দিয়েছেন তিনি। এরপর অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি সামনে এল।
মুদ্রাস্ফীতির হাল খুবই খারাপ আর্জেন্টিনায়। ২০১৯ সালে গুজম্যান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে ওই দেশ। ২০১৯ সালের পর থেকে ৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। ফলে সেদেশের মুদ্রা পেসোর উপরে চাপ ক্রমেই বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে এখনই ব্যবস্থা না নিলে মুদ্রাস্ফীতি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।